উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা। মানচিত্রে দেশের উত্তরের সীমান্ত ঠেকেছে এখানেই। এছাড়া দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দরও এই বাংলাবান্ধা। তাই সব দিক দিয়েই গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় এই এলাকা। দিন দিন বাংলাবান্ধায় দেশি বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে বাংলাবান্ধা মানসম্পন্ন কোন আবাসিক হোটেল না থাকায় বিপাকে পড়তে হতো পর্যটকদের।
এরই ধারাবাহিকতায় তেঁতুলিয়া পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। সম্প্রতি বাংলাবান্ধায় আধুনিক মানের বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল তৈরি করা হয়েছে। হোটেলটির নাম দেয়া হয়েছে ‘হোটেল ধানসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল’।
পঞ্চগড়ের নারী উদ্যোক্তা ফোরাত জাহান সাথী পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এই হোটেল নির্মাণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। বাংলাবান্ধা বাসস্ট্যান্ডের অদূরেই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই হোটেলটির ভেতরে রাইরে চমৎকার করে সাজানো হয়েছে। ভেতরে আসবাপত্রেও রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। দৈনিক দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে থাকা যাবে এই হোটেলে। হোটেলটির সাথেই রয়েছে ধানসিঁড়ি ফুড ভিলেজ। এছাড়া দেশি বিদেশি বিভিন্ন রুটের বিমানের টিকিটও মিলবে এখান থেকেই। এই হোটেলের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই হোটেলটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ বিভিন্ন শ্রেণি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হোটেল মালিক ফোরাত জাহান সাথী বলেন, বাংলাবান্ধা এতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়া সত্যেও এখানে ভালো মানের কোন আবাসিক হোটেল ছিলো না। এতে পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। তাদের তেঁতুলিয়া কিংবা পঞ্চগড়ে গিয়ে থাকতে হতো। তাই পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা চিন্তা করেই আমি এই হোটেল নির্মাণ করা সিদ্ধান্ত নেই। আমি হোটেলটি নিজের মতো করে সাজানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি পর্যটকরা কম খরচে আরামের সাথে এখানে থাকতে পারবেন।।
You cannot copy content of this page