1. [email protected] : Shafiqul Alam : Shafiqul Alam
  2. [email protected] : aminul :
  3. [email protected] : Bayezid :
November 30, 2023, 8:32 pm
শিরোনাম :
পঞ্চগড়হাজারো নেতাকর্মীর ভালবাসায় সিক্ত নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তাপঞ্চগড় পঞ্চগড়ে মাদক পাচার ও চোরাচালান রোধে বিজিবির জনসচেতনতামুলক সভা পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীদের শব্দ সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে বাল্য বিবাহ রোধে কিশোরীদের নিয়ে সচেতনামুলক গ্রুপ সভা নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন করতে একাই বাজার করছেন সাধারন সম্পাদক পঞ্চগড়ে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পঞ্চগড়ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমান হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে জাকের পার্টির বিক্ষোভ পঞ্চগড়ে উপজেলা বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত স্মার্ট জেলার পুরস্কার পেলেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক  স্মার্ট জেলার পুরস্কার পেলেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক

নিরবেই হারিয়ে গেলো নিরবের স্কুল জীবন, স্কুল ছাত্র থেকে সে এখন টি বয়

মো. লুৎফর রহমান
  • Update Time : Sunday, October 24, 2021
  • 716 Time View




নিরব চন্দ্র রায়। বয়স ১১ ছুঁই ছুঁই। ছিলেন স্কুল ছাত্র। করোনার থাবা তাকে ছাত্র থেকে করেছে হোটেল শ্রমিক। পুরো সংসারের ভাড় এখন এই ছোট শিশুটির কাঁধে। রোজগার স্কুলে ছোটা আর ছুটির ঘন্টা তাকে আর টানে না। সে এখন হোটেলের খন্দেরদের ডাকে সাড়া দিতে ব্যস্ত। টানাপোড়েনের সংসারে করোনা যেন যমদূত হিসেবে দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে। ভাগ্যের পতন আর করোনা দুইয়ে মিলে স্কুল ছাত্র নিরব এখন হোটেলের ‘টি বয়’। নিরবেই নিরবের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। পড়ালেখা আর খেলাধুলায় মেতে থাকার দুহাত এখন রোজগারের শক্ত হাতে পরিণত হয়েছে। লেখাপড়ার স্বপ্ন এখন তার কাছে মিছে সান্তনা ছাড়া কিছুই নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের পানিয়ালতোলা নতুনপাড়া এলাকায় বাড়ি নিরবের। সংসারে আছে মা নিরদা বালা ও চার বছরের এক ছোট ভাই। বাবা অবিনাশ চন্দ্র রায় চার বছর আগে তাদের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে পাড়ি জমিয়েছে ভারতে। সেখানে নতুন সংসার পেতেছেন। তারপর থেকেই সংসারে টানাপোড়েন লেগেই রয়েছে। মা নিরদা মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে দুবেলা ভাত তুলে দিতো দুই সন্তানের মুখে। এভাবেই দুঃখ কষ্টে কেটে যাচ্ছিল তাদের জীবন। খোঁচাবাড়ি প্রাইম কিন্ডার গার্টেনে বিনা বেতনে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো নিরব। করোনার শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় নিরবের লেখাপড়ার সুযোগের দুয়ারও। সংসারে নেমে আছে সীমাহীন অভাব। স্বামী পরিত্যক্তা মা একা আর পারছিলেন না। নিরুপায় নিরব লেখাপড়ার আশা ছেড়ে দিয়ে নেমে পড়েন কাজে। বাড়ির পাশের খোঁচাবাড়ি বাজারের একটি হোটেলে টি বয় হিসেবে যোগ দেন। সারাদিন কাজ করে ১৫০ টাকা করে মজুরি পায় এই শিশু শ্রমিক। মা ও ছেলের এই রোজগারেই তিন সদস্যের পেটে ভাত পড়ছে কোন মতে।
ওই এলাকার তরুণ সমাজকর্মী কামরুল হাসান বলেন, নিরবেই নিরবের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারী তাকে ছাত্র থেকে হোটেল শ্রমিক করেছে। সে লেখাপড়াতে ভাল ছিলো। খুব আগ্রহ ছিলো। ক্লাশে কখনো ফাঁকি দিতো না। ভাগ্য আজ তাকে এই পেশা নিতে বাধ্য করেছে। আর হয়তো তার বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়ে উঠবে না। এই করোনায় এমনি অনেক নিরবের স্বপ্ন হারিয়ে গেছে। তাদের জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | PanchagarhNews.com পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
Tech supported by Amar Uddog Limited

You cannot copy content of this page