1. [email protected] : Shafiqul Alam : Shafiqul Alam
  2. [email protected] : Admin user : Admin user
  3. [email protected] : aminul :
July 12, 2025, 1:10 am
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা ও হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ দেবীগঞ্জে বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গাচোরা ঝুঁপড়িতে থাকা সেই বৃদ্ধাকে নতুন ঘর উপহার দিল জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড়ের বোদায় ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন  রাজকীয় আয়োজনে ৩৭ বছরের স্কুল শিক্ষকের বিদায়, শোভাযাত্রা করে দেয়া হয় বাসায় পৌঁছে  পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঠান্ডা পানি, শরবত বিতরণ পঞ্চগড়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পঞ্চগড়
শহীদ পরিবার আহতদের নিয়ে
বিএনপির ঈদ উৎসব
বিচার চান স্বজনহারা পরিবারগুলো
পঞ্চগড়ে কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী, চলছে টহল ও নিরাপত্তা মহড়া পঞ্চগড় সদরের দুই সীমান্ত দিয়ে ২৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

নিরবেই হারিয়ে গেলো নিরবের স্কুল জীবন, স্কুল ছাত্র থেকে সে এখন টি বয়

মো. লুৎফর রহমান
  • Update Time : Sunday, October 24, 2021
  • 1267 Time View




নিরব চন্দ্র রায়। বয়স ১১ ছুঁই ছুঁই। ছিলেন স্কুল ছাত্র। করোনার থাবা তাকে ছাত্র থেকে করেছে হোটেল শ্রমিক। পুরো সংসারের ভাড় এখন এই ছোট শিশুটির কাঁধে। রোজগার স্কুলে ছোটা আর ছুটির ঘন্টা তাকে আর টানে না। সে এখন হোটেলের খন্দেরদের ডাকে সাড়া দিতে ব্যস্ত। টানাপোড়েনের সংসারে করোনা যেন যমদূত হিসেবে দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে। ভাগ্যের পতন আর করোনা দুইয়ে মিলে স্কুল ছাত্র নিরব এখন হোটেলের ‘টি বয়’। নিরবেই নিরবের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। পড়ালেখা আর খেলাধুলায় মেতে থাকার দুহাত এখন রোজগারের শক্ত হাতে পরিণত হয়েছে। লেখাপড়ার স্বপ্ন এখন তার কাছে মিছে সান্তনা ছাড়া কিছুই নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের পানিয়ালতোলা নতুনপাড়া এলাকায় বাড়ি নিরবের। সংসারে আছে মা নিরদা বালা ও চার বছরের এক ছোট ভাই। বাবা অবিনাশ চন্দ্র রায় চার বছর আগে তাদের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে পাড়ি জমিয়েছে ভারতে। সেখানে নতুন সংসার পেতেছেন। তারপর থেকেই সংসারে টানাপোড়েন লেগেই রয়েছে। মা নিরদা মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে দুবেলা ভাত তুলে দিতো দুই সন্তানের মুখে। এভাবেই দুঃখ কষ্টে কেটে যাচ্ছিল তাদের জীবন। খোঁচাবাড়ি প্রাইম কিন্ডার গার্টেনে বিনা বেতনে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো নিরব। করোনার শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় নিরবের লেখাপড়ার সুযোগের দুয়ারও। সংসারে নেমে আছে সীমাহীন অভাব। স্বামী পরিত্যক্তা মা একা আর পারছিলেন না। নিরুপায় নিরব লেখাপড়ার আশা ছেড়ে দিয়ে নেমে পড়েন কাজে। বাড়ির পাশের খোঁচাবাড়ি বাজারের একটি হোটেলে টি বয় হিসেবে যোগ দেন। সারাদিন কাজ করে ১৫০ টাকা করে মজুরি পায় এই শিশু শ্রমিক। মা ও ছেলের এই রোজগারেই তিন সদস্যের পেটে ভাত পড়ছে কোন মতে।
ওই এলাকার তরুণ সমাজকর্মী কামরুল হাসান বলেন, নিরবেই নিরবের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারী তাকে ছাত্র থেকে হোটেল শ্রমিক করেছে। সে লেখাপড়াতে ভাল ছিলো। খুব আগ্রহ ছিলো। ক্লাশে কখনো ফাঁকি দিতো না। ভাগ্য আজ তাকে এই পেশা নিতে বাধ্য করেছে। আর হয়তো তার বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়ে উঠবে না। এই করোনায় এমনি অনেক নিরবের স্বপ্ন হারিয়ে গেছে। তাদের জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | PanchagarhNews.com পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
Tech supported by Amar Uddog Limited

You cannot copy content of this page