পঞ্চগড় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়ম, টাকা আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তার এসব অভিযোগ নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ পঞ্চগড় শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম হোসেন প্রধান আবিদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমান কোন কারন ছাড়াই গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১৪ জন পিচরেট কর্মচারীর এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৭০ টাকা টাকা প্রদান করেননি। আমরা জানতে পেরেছি ওই টাকা তুলে নিজের কাজে খরচ করেছেন। তারা জানান, কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং করে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পৌছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে পিচরেট কর্মচারীরা। বিনিময়ে সামান্য বেতন দিযে সংসার পরিচালনা করেন তারা। আগে নিযমিত বেতন দিলেও গত ডিসেম্বর মাসের বেতন তিনি কর্মচারীদের পরিশোধ করছেন না। নেসকোর হিসাবরক্ষকের কাছে বেতন চাইতে গেলে হিসাব রক্ষক ইসাহাক আলী জানান, ডিসেম্বর মাসের বেতন নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে রয়েছে। অন্যান্য মাসের বেতন প্রদান করলেও তিনি গত ডিসেম্বর মাসের বেতন প্রদান করছেন না। কোন কারণ ছাড়াই তিনি তাদের এক মাসের বেতন তুলে নিয়ে নিজের কাজে খরচ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী নানা দূর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে পড়েন। নতুন লাইন সংযোগের জন্য প্রত্যেক ফাইলে স্বাক্ষর বাবদ গ্রাহকদের কাছে অফিস খরচ হিসেবে ১২০০ টাকা গ্রহণ করছেন। তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের খুটি সরবরাহ, বিদ্যুতের খুটি স্থাপন, শিল্প কল কারখানায় অবৈধ সংযোগ, বাঁশ, গাছের সাহায্যে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ প্রদান করে আসছেন। তিনি অফিসের সকল কাজে একক সিদ্ধান্তে কাজ করেন। তিনি তার অধিনস্থ পিচরেট কর্মচারিদের বেতন ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমানের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং ল্যান্ড ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।।
You cannot copy content of this page