পঞ্চগড় প্রতিবেদক
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এক সরকারী কর্মকর্তা এলোপাথারী মারধর ও প্রকাশ্যে লাথি মেরে অপদস্ত করার এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার না পাওয়ায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে আটোয়ারী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভূক্তভোগী পরিবার।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনের ছেলে শাহ আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশকৈল উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলম পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনের বিমাতা ঘরের নাতী হন। তার বাবা অলিয়ার রহমান ও তিনি জোর পূর্বক দুটি দান পত্র দলিল দেখিয়ে রহিম উদ্দীনের ৬ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। পরে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীন জমি ফিরে পেতে ২০০৭ সালে পঞ্চগড় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলায় ২০১৪ সালে রায় পান তিনি। পরে রায় পেয়েও জমি নিজের দখলে নিতে পারিনি আমরা।
এদিকে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলমের বাবা অলিয়ার রহমান মারা গেলে ওই দিন মরদেহ দাফনের আগে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীন জমি ফিরিয়ে দিতে নুরে আলমকে বলেন। এর পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার বাবাকে এলোপাথারি মারধর করে লাথি মারেন। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গ্রামের সচেতন সমাজের কাছে বিচার দিলেও গত এক বছরে কোন সুরাহা মেলেনি। দ্রুতই অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা সহ জেলার গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
You cannot copy content of this page