পঞ্চগড় প্রতিবেদক
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় সামিউল ইসলাম সয়ন হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবরে ) দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার বাসীর ব্যানারে আটোয়ারী প্রেসক্লাবের সামনে আটোয়ারী-রুহিয়া আঞ্চলিক সড়কের দুইধারে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সয়নের মা সেলিনা আকতার, বাবা রবিউল হক ও স্বজন লাবিব ইসলাম সহ স্থানীয়রা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, সয়ন হত্যাকান্ডের ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান অভিযুক্ত মুন্নাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। হত্যাকারীরা প্রশাসনের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছেনা পুলিশ। হত্যার নানা আলামত থাকলেও পুলিশ নাকি হত্যার রহস্য খুঁজে পাচ্ছেনা। এ ঘটনায় একটি মামলা হলেও পুলিশের কোন আইনী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। বক্তারা দ্রুতই সয়নের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবী জানান। অন্যথায় আরো তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। মানববন্ধনে এলাকাবাসী সহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষজন অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে আটোয়ারী-রুহিয়া আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে সয়ন হত্যার বিচারের দাবীতে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকেন স্বজনেরা। এসময় ওই সড়ক দিয়ে ঘন্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া ঘটনাস্থলে আসলে নিহতের স্বজনদের তোপের মুখে পড়েন। পরে তিনি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়ে স্বজনদের কাছে কিছুদিন সময় চাইলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় স্বজনেরা। উল্লেখ্য, আর্থিক লেনদেনের জেরে গত ৬ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে সামিউল ইসলাম সয়ন (২৬) নামে এক যুবককে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায় ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্না সহ কয়েকজন যুবক। পরে আটোয়ারী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় সয়নকে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন সয়নকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা কমপ্লেক্সের নিয়ে যান। পরে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সয়ন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় সয়নের মা গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী হয়ে ছেলের হত্যাকারী মুন্না সহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে আটোয়ারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তবে মামলার হওয়ার ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।
You cannot copy content of this page