পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মত চারুকলা এবং শারিরীক শিক্ষা বিষয়ের প্রথম পর্বের চুড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই বোর্ডের অধীনে সদর উপজেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেয়া টেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের ৮৭ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তালমা এলাকায় অবস্থিত পঞ্চগড় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ভ্যেনুতে অনুষ্ঠিত আটটি বিষয়ে ৮০০ নাম্বারের এই পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আশা এই পরীক্ষায় পাশের পর আগামিতে বিভিন্ন এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা এবং চারুকলার শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করতে পারবেন।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী রায়হানুল কবির যানান , স্নাতক পাশ করে আমরা বেকার জীবন যাপন করছিলাম। আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল পঞ্চগড়ে চারুকলা বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক । কেয়া টেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউ আমাদের চারুকলা বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ করে দিয়েছে। শিক্ষার্থী জোসনা বানু বলেন এক বছর মেয়াদী ফাইন আর্ট কোর্স সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আমরা যে সনদ পাবো তা দিয়ে বিভিন্ন এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারুকলার শিক্ষক পদে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করবো।
কেয়া টেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের পরিচালক রেজওয়ানুল ইসলাম শুভ জানান, পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মত চারুকলা বিষয়ে স্নাতক পাশের পর বেকার নারী পুরুষরা অমাদের প্রতিষ্ঠানে এডভান্স সার্টিফিকেট কোর্সে অধ্যয়ন করছেন।আশা করি চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় পাশের পর তারা চাকুুরি ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। কারন দেশের প্রতিটি স্কুল কলেজ এমনকি মাদ্রাসাগুলোতেও একজন আর্ট শিক্ষক প্রয়োজন । সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার ফাইন আর্ট শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পরিবারের কাজের ফাঁকে নারীরাও এই কোর্সে অধ্যয়ন করছেন। আমাদের কলেজে ড্রইং, ভাস্কর্য, হ্যান্ডি ক্রাফটস সহ শিল্পকলার ইতিহাস বিষয়ে পড়ানো হয়। এই বিষয়গুলোর উপরে ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
জানা যায় ২০২৩ সালে জেলা শহরের লিচুতলা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কেয়া ট্যাকনিক্যাল ইনিস্টিটিউিটে ফাইন আর্ট ও শারীরিক শিক্ষা এই দুটি বিষয়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন লাভ করে যার কোড ১১০৭৬। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফাইন আর্টে ৪৭ জন ও শারিরিক শিক্ষায় ৪০ জন নারী পুরুষ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন ।
You cannot copy content of this page