পঞ্চগড় অফিস
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে (ছেলে) ধর্ষণের দায়ে তারিকুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় ধর্ষণের শিকার শিশুর নানা শনিবার দুপুরে বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে শনিবার বিকেলে আসামী তারিকুলকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গ্রেপ্তার হওয়া তারিকুল উপজেলার ভাউলাগঞ্জ মাঝিয়ালী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। এদিকে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের অধিনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) বিকেলে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের মাঝিয়ালী গুচ্ছগ্রামের ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে ডেকে নিয়ে যান তারিকুল। পরে সেখানে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি। এসময় শিশুটির চিৎকারে ভূট্টা ক্ষেতের পাশেই ঘাস তুলতে থাকা এক নারী দৌড়ে এলে শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যান তারিকুল। পরে আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পরিবারের লোকজন। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শিশুটির অভিভাবকদের নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে ঘোরাতে থাকেন বলে জানায় পুলিশ। পরে শনিবার দুপুরে শিশুটির নানা ধর্ষণের বিষয়টি দেবীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক তারিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুব আলী বলেন, শিশুটির শারিরীক পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আসামীকে আদালতে তোলা হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি জানা মাত্রই অভিযান শুরু করি। পরে ধর্ষককে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এঘটনায় শিশুটির নানা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ধর্ষনের সময় শিশুটির পায়ুপথে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে পরিবারের সূত্রে জানতে পারি। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পরিবারের সদস্যরা।
You cannot copy content of this page