পঞ্চগড় রেলস্টেশনে ফেন্সিডিল বহনকারী তরুণকে গ্রেপ্তার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে রেলপথে ফেন্সিডিল আনার পথে ২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আবু সিয়াম (১৮) নামে এক তরুণে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আরএনবির সদস্যরা। রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।  তার বিরুদ্ধে দিনাজপুর রেলওয়ে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন পঞ্চগড় মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক সবুজ চন্দ্র দেবনাথ।  

গ্রেপ্তার আবু সিয়াম ঠাকুরগাঁও এর বালিয়াডাঙ্গী থানার সনগাঁও পৌকান পুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে।

পঞ্চগড় আরএনবি সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন যোগে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে আসে সিয়াম। স্টেশনে সন্দেহভাজন ভাবে ঘোরাঘুরির সময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সে আটক হয়।

গ্রেপ্তার তরুণ সিয়াম  বলেন, আমি পার্বতীপুর থেকে ট্রেনে আসার সময় অন্তর নামে এক ব্যাক্তি ঠাকুরগাঁও আসার পর একটি ব্যাগ দিয়ে বলেন যে পঞ্চগড়ে গিয়ে নেমে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনে ব্যাগটি তুলে দিবা। এ কাজে ২ হাজার টাকা দেয়া হবে। তাই ব্যাগটি নিয়ে স্টেশনে নামলে আমাকে ধরে ফেলে।
এবিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আরএনবির উপ পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা ২০ মিনিটে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড়ে আসে। এর পর ওই তরুণ ট্রেন থেকে নেমে সন্দেহভাজন ভাবে স্টেশনে ঘুরাফেরা করছিল। এদিকে চলাফেরা সন্দেহভাজন হওয়ায় আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদিকে পূর্বের এক গোপন সংবাদের তথ্য মতে তাকে তল্লাশী চালানো হলে তার সাথে থাকা একটি ব্যাগে ফেন্সিডিলগুলো পাওয়া যায়। একই সাথে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনকে খবর দেয়া হয়।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় কার্যালয়ের পরিদর্শক সবুজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমি বাদী হয়ে দিনাজপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। পরে আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহন মিনজি বলেন, খবর পেয়ে স্টেশনে এসে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মের থেকে মাদকের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবং মোবাইল কোর্টের আওতায় না থাকায় সকল প্রক্রিয়া শেষে নিয়মিত মামলা রুজু করতে তাকে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হবে।