বিশেষ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ টি নমুনায় নতুন করে আরো ৪৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, তেতুঁলিয়ায় ১১ জন, আটোয়ারীতে ৬ জন এবং বোদায় ৫ জন এবং দেবীগঞ্জে ৯ জনের করোনা সনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৪ জন। জেলায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৮ জনে। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৮৭৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৪১৮ জন। চলতি মাসে মোট আক্রান্ত ২৫৩ জন এবং চলতি বছরে মোট আক্রান্ত ৫৫৫ জন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এন্টিজেন টেষ্টে ৮৬ নমুনায় ৪৫ জনের করোনা পজেটিভ আসে। ৮৬ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সিভিল সার্জন ডা. মো ফজলুর রহমান বুধবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের শুরু থেকে পঞ্চগড়ে নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা সনাক্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে পরীক্ষা এবং সনাক্ত তেমন ছিল না। এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৫০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআর, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে এবং পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে র্যাপিট এন্টিজেন টেষ্ট পরীক্ষায় ৬ হাজার ৬২১ জনের ফলাফল এসেছে। সব মিলিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৪ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭৮ জন, তেতুঁলিয়ায় ১৮৬ জন, আটোয়ারীতে ১৭৪ জন, বোদায় ১৭৭ জন এবং দেবীগঞ্জে ২০৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে ৮৭৮ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩৪ জন, তেতুঁলিয়ায় ৯৭ জন, আটোয়ারীতে ১২৯ জন, বোদায় ১৪৬ জন এবং দেবীগঞ্জে ১৭২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছে ২৮ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, তেতুঁলিয়ায় ০২ জন, আটোয়ারীতে ০৪ জন, বোদায় ০৪ জন এবং দেবীগঞ্জে ০৫ জন। পঞ্চগড় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে ১৭ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছে ৪০১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২২২ জন, তেতুঁলিয়ায় ৭৭ জন, আটোয়ারীতে ৪২ জন, বোদায় ২৪ জন এবং দেবীগঞ্জে ২৬ জন।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো ফজলুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৪৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩২৪ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। গত জুন মাসে এবং চলতি মাসে পঞ্চগড়ে নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা আক্রান্ত সনাক্ত দুটিই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কারো শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। আমরা নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর পর সেখান থেকে আবারো নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে তারা জানাবে কারো শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে কিনা।
তিনি আরো জানান, সর্দি, জ¦র, কাশি বা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিলেই সকলকে করোনা পরীক্ষার জন্য বলা হচ্ছে। এখানে কোন আইসিইউ নেই। তবে করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত জনবল এবং অক্সিজেনের সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। এ পর্যন্ত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা সুস্থ আছেন এবং নিজ বাসাতেই হোম আইসোলেশনে আছেন। এজন্য সকলকে নিয়োমিত মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
You cannot copy content of this page