বিশেষ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলায় মোবাইল চুরি করা নিয়ে কথা বলায় ফুপাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই মো. দুলাল (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার উপজেলার তীরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুলাল ওই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ মূল হত্যাকারী একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মুজিবুল্লাহ সৈকতকে (২৪) আটক করেছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছায়েম মিয়া জানান, গত সোমবার (২৮ জুন) রাতে ঠুনঠুনিয়াপাড়া গ্রামের হযরত আলীর একটি সিম্ফনি স্মাট মোবাইল ফোন একই গ্রামের মজিবুল্লাহ সৈকত চুরি করে। মোবাইল চুরি করার সময় হযরতের চাচাত ভাই দুলাল দেখে ফেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠুনঠুনিয়াপাড়া মসজিদের পাশে হযরত আলী সহ স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সৈকতের সাথে দুলাল দেখা করে। পরে এ নিয়ে দুলাল সৈকতকে মোবাইল চুরি করার কারণ ও হযরতের মোবাইলটি ফেরত দিতে বলায় সৈকত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এসময় উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সৈকত ক্ষুদ্ধ হয়ে পকেট থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে দুলালের পেটে একাধিকবার আঘাত করে। এসময় ঘটনাস্থলেই দুলাল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. ইয়েসার হাবিব জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই দুলালের মৃত্যু হয়েছে। তার পেটে একাধিকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছায়েম মিয়া বলেন, লাশের সুরৎহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত মূল হত্যাকারী সৈকতকে ইতিমধ্যে তার বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
You cannot copy content of this page