পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে সম্মানিত মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন মসজিদে সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায়ে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রয়োজনে একাধিক জামায়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায়ের কথা জানান জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এবার মসজিদে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজ আদায়ে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে হলো-
১. ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায়।
২. প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
৩. ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
৪. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৫. মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
৬. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৮. মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পরের হাত মেলানো পরিহার করা।
৯. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
১০. সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১১. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে দোয়া করা।
১২. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
১৩. করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকা।
১৪. ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করা।।