স্টাফ রিপোর্টার
প্রথমবারের মতো পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হলেও ভোট গ্রহণ চলছে ধীরগতিতে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তবে ভোটারদের কাছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম ) পদ্ধতি নতুন হওয়ায় ভোট দিতে সময় লাগছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে না পারায় ভোটারদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভও চোখে পড়ে।
দেবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আঙ্গুর বালা (৯০) নামে এক বৃদ্ধা জানান, জীবনে প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিলাম। আগে কখনো এমন মেশিনে ভোট দেইনি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আমি খুব খুশি।
নতুনবন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসে রিক্তা আক্তার (১৯) জানান, এবারই প্রথম ভোট দিতে এসেছি। তাও আবার ইভিএমে। সকাল ৮ টায় এসেছি দুপুর ১২ বাজলেও এখনো ভোট দিতে পারিনি। খু্ব ধীর গতিতে ভোট নেয়া হচ্ছে। কখন যে ভোট দিতে পারবো জানিনা।
নৃপেন্দ্র নারায়ন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুদীপ চন্দ্র শর্মা জানান, সকাল থেকে শান্তি পূর্ণভাবে ভোট গ্রহন হচ্ছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।এখানকার বেশিরভাগ মানুষ এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিচ্ছে। তাদের ভোট দেয়ার বিষয়ে শিখিয়ে দেয়ার কারণে ভোট নিতে দেরি হচ্ছে। তবুও আমরা দ্রুত ভোট গ্রহন করে দীর্ঘ লাইন কমানোর চেষ্টা করছি।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, কাউন্সিলর পদে ৬২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। অন্য আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। দেবীগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার ১০ হাজার ৯১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৩৩৬ ও নারী ভোটার ৫ হাজার ৫৭৮ জন। পৌরসভার নয়টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ছয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টির মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে দুটি কেন্দ্র।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নয়টি কেন্দ্রে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন আছেন। পুরো নির্বাচনী এলাকাজুড়ে পুলিশের ও বিজিবি চারটি করে ভ্রাম্যমাণ দল ও র্যাবের তিনটি ভ্রাম্যমাণ দল কাজ করছে।
দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও দেবীডুবা ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে ২০১৪ সালে গঠিত হয় দেবীগঞ্জ পৌরসভা। সীমানা জটিলতায় দীর্ঘদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার প্রথমবারের মতো এই পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত হয়েছিল
You cannot copy content of this page