পঞ্চগড়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একে একে চারটি গাভি মারা যাওয়ার ঘটনায় অসহায় এক পরিবারকে গাভি উপহার দিলেন জেলা প্রশাসক। রোববার দুপুরে পরিবাটির ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যাশায় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম একটি গাভী তুলে দেন মজনু মিয়ার হাতে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিয়াজ উদ্দিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সদরের মাগুড়া ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক মজনু মিয়া। তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন নিজেদের চারটি গাভি দেখভাল করতেন এবং দুধ বিক্রি করেই দুই সন্তানসহ চার জনের সংসার পরিচালনা করতেন। কৃষি শ্রমিকের কাজ না পেলে স্বামী মজনু মিয়া শিক্ষানবীশ আইনজীবি সহকারি হিসেবে জেলা জজ আদালতেও যাতায়াত করতেন। কিন্ত এতে তার কোন দিন কাজ পেলে ১০০ থেকে ২০০ টাকা আয় করতেন। মাস খানেক আগে তার সংসার পরিচালনার একমাত্র অবলম্বন গৃহপালিত চারটি গাভি মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে মারা যায়। এরপর থেকে স্ত্রী মরজিনাসহ দুই সন্তান গরু মারা যাওয়ার শোকে কান্নাকাটি করতেন। বুধবার গণশুনানীতে মজনু মিয়ার গল্প শুনে জেলা প্রশাসক তাকে ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে একটি গাভি কিনে দেন।
গাভী পেয়ে খুশি মজনু মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলাম। তিনি আমার চারটি গরু এক সাথে মারা যাওয়ার কথা শুনেন এবং আমাকে একটি গাভি কিনে দেন। পাশাপাশি তিনি রোগবালাই এর জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগে যোগাযোগ রাখারও পরামর্শ দেন। আশা করি এই গাভী লালন পালনের মাধ্যমে আবারও আমার চারটির বেশি গরু হবে।
জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বুধবার মজনু মিয়ার মত প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এমন অসংখ্য জীবনের গল্প নিয়ে অফিসে গণশুনানীতে আসেন। আমি তাদের কথা শুনি। এদের মধ্যে যারা উদ্যোক্তা হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগ্রহ দেখান, তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়। এটা তারই একটি অংশ মাত্র।।
You cannot copy content of this page