আগামী বৃহষ্পতিবার থেকে পঞ্চগড় জেলা শহর এবং পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কুকুরের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবে। এবার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সাড়ে তিন হাজার কুকুরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এজন্য ঢাকা থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ পঞ্চগড়ে এসেছেন।
পঞ্চগড়ে কুকুরের গণহারে টিকাদান কার্যক্রম উপলক্ষে অবহিতকরণ সভায় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান এসব তথ্য জানান। সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজা বেগ রীনা, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মজিদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক, নিলুফা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও জলাতঙ্ক প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ কুকুর কামড়ের রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে ২০১১ সাল থেকে সারা দেশে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়। কুকুরের কামড়ে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা চালু রেখে ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সকল কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা প্রদান করা হবে। আগামী ৬ মে বৃহষ্পতিবার থেকে পঞ্চগড় জেলায় দ্বিতীয় রাউন্ডের কুকুরের গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।।
You cannot copy content of this page