বিশেষ প্রতিনিধি
দেশে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ। সংকট দেখা দিচ্ছে আইসিইউ বেড সহ অক্সিজেনের। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা সুনিশ্চিত করতে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পঞ্চগড় জেলা শাখার উদ্যোগে করোনা রোগীদের বিনা খরচে বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সহায়তা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ নোমান হাসান। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির পর থেকে গত এক বছরে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন জায়গায় কোভিড-১৯ রোগীর জন্য তিনি অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন। মহামারির শুরু থেকে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করছিলেন তিনি ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে রোগীদের জন্য বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ শুরু করেন। “যারা হাসপাতালে যেতে পারছিল না সেই সব রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া শুরু করেন, ছাত্রলীগ নেতা নোমান হাসান। গেল কয়েকদিন আগে জেলার সদর উপজেলার টুনির হাট এলাকা থেকে রাত ১১.৩০ মিনিটে মুঠোফোনে জানতে পারেন এক করোনা রোগীর অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। মুহুর্তেই অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে ছুটে চলেন সেবা দিতে। পরে করোনা রোগীর মুখে অক্সিজেন সরবরাহ করলে তার শ্বাসকষ্ট দূর হয়। করোনা রোগীদের জন্য তার এই ছুটে চলার ভূয়সী প্রশংসা করলে নেটিজেন সহ সেবাগ্রহীতারা।
স্থানীয় অনেকে জানান, যেখানে করোনা রোগীর কাছে মানুষ যেতে ভয় পায়, সেখানে নোমান সহ ছাত্রলীগের সদস্যরা করোনা রোগীর কাছে গিয়ে যেভাবে অক্সিজেন সেবা দিচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। কজনই রোগীর সেবা করে। নোমান সহ এ কাজে আত্মনিয়োগ করা সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও ভালবাসা জানান অনেকে।
পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ নোমান হাসান বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে হঠাৎ করে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আমি ফোন পেলে রোগীর বাড়িতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে চলে যাই। গত এক সপ্তাহে অন্তত আটজন রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছি। করোনা রোগীদের সেবা করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। মানবতার সেবা মহৎ গুন। আমি সর্বদা আর্তমানবতার সেবায় কাজ যেতে চাই।
You cannot copy content of this page