পঞ্চগড় প্রতিনিধি
নিজের চোখ দুটো যদি অন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কত কষ্ট, যন্ত্রণা, বেদনা, বিড়ম্বনা আর অসহায়ত্ব কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। বাবা মা, একটি পরিবার, একটি সংসারে এর বোঝা বইতে কত ধকল সইতে হয়, যার বা যাদের এমনটি হয়েছে তারাই বোঝে।
হ্যাঁ বন্ধু এমনই এক কষ্টের অতল গহবরে তলিয়ে যাওয়া ছোট্ট শিশুর নাম মো. সিয়াম হোসেন (৬)। সে জগদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীতে পড়ে। চিকিৎসার অভাবে তার বাম চোখে পৃথিবীর আলো বাতাস দেখা বন্ধ হয়ে গেছে। ডান চোখটিও ঘোলা দেখছে।
সিয়ামের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার পঞ্চগড় ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে। তার বাবা সাইদুল ইসলাম বাবু পঞ্চগড় শহরের মা বস্ত্রালয়ে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত।
যা পূঁজি ছিল সন্তানের জন্য ঠাকুরগাঁও, রংপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ও চিকিৎসা নিতে গিয়ে বর্তমানে সে নিঃশ্ব। ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ভিশন আই হসপিতাল, দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন, ইস্পাহানি ইসলামীয়া আাই হসপিতাল এন্ড হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েও দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাননি সিয়াম। তার গ্লুকোমা বা করোনার সমস্যা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সহকারী অধ্যাপক মেসবাউল আলম, ডা. প্রফেসর আনিসুজ্জামান, ডা. নাজমুন নাহারসহ বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে দ্রুত ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতে চিকিৎসা করতে সবমিলে দরিদ্র অসহায় এই পরিবারটির প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। সামান্য বেতনের কর্মচারি বাবার একার পক্ষে সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব। দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থানওই যার কষ্টসাধ্য সেখানে ভারতে গিয়ে সন্তানের চিকিৎসা বহন করা অসাধ্য। এছাড়া তার আরও ১ ছেলে ১ মেয়ে লেখাপড়া করছে।
অসহায় এই পরিবারটি ছোট্ট শিশু সিয়ামের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে দেশের সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান, দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা না হলে তার সারা জীবনের জন্য দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে। তাহলে কি এই ভাবেই ছোট্ট সিয়ামের দৃষ্টিশক্তি হারাবে! আমার আপনার সবার সহযোগিতায় সিয়াম চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে।
সিয়ামের বাবার মোবাইল নম্বর ০১৯৩০৯৬১৩৩৭ (বিকাশ/নগদ)।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে খেলার এক পযার্য়ে পড়ে গিয়ে কপাল, চোখ ও নাকে আঘাত লাগে সিয়ামের এর পর ক্রমান্বয়ে সে দৃষ্টিশক্তি হারাতে থাকে। #
You cannot copy content of this page