পঞ্চগড় প্রতিনিধি
‘আসসালামু আলাইকুম। আমি যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ বলছি… আসন্ন দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ইস্ত্রি মেশিন মার্কার মেয়র প্রার্থী। আপনাদের ভোট এবং দোয়া চাইতে আসছি।’ দেবীগঞ্জ পৌরসভায় দরজায় দরজায় এভাবেই একহাতে মাইক আর অন্যহাতে লিফলেট নিয়ে ভোট চাচ্ছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৯ জন। শেষ কয়েক দিনের প্রচারণায় ভিন্নতা এনে আলোচনায় এসেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ। পাড়ায় পাড়ায় যাকারিয়া যখন হ্যান্ড মাইক নিয়ে ঢুকছেন তখন তার পিছু নিচ্ছে ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা। তাকে ঘিরে এলাকার মানুষের জটলার পাশাপাশি শিশুদের পিছ নেওয়া মনে হয়, যাকারিয়া যেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।
দেবীগঞ্জ পৌরসভার কনিষ্ঠ মেয়র প্রার্থী যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ এ ব্যাপারে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে পৌরবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে কর্মীরা থাকলেও মহল্লার ভেতর আমি একাই হাতে মাইক নিয়ে চলাফেরা করছি, কর্মীরা আলাদা ঘুরছেন। অনেক সময় ছোট্ট সোনামনিরা মাইকের শব্দ শুনে আমার কাছে আসছেন, স্লোগান ধরছেন। যতক্ষণ তাদের পাড়ায় থাকছি আমার পিছু নেয় শিশুরা। বিভিন্ন বাড়িতে গিয়েও শিশুরা বলছে, যাকারিয়া ভাই আসছে দরজা খুলেন। অনেক সময় ভোটও চাচ্ছেন।
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আমেনা বেগম বলেন, গতকাল বাসার দরজায় একপাল শিশুর মিছিলের শব্দ শুনে ভাবলাম কে আবার মিছিল দেয়? পরে গিয়ে দেখি মেয়র প্রার্থী যাকারিয়া ভাইয়ের মাইক শিশুরা নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। ভাইও তাদের আদর করছেন। আরেকজন বয়বৃদ্ধা ভোটার আলেয়া খাতুন বলেন, ছুডু ছুডু বাচ্চা পুনাইরা ছ্যাড়াডারে ক্যান জানি খুব বালা পায়। ছাড়াডাও ভালা, তার জন্যি দুয়া করি।
দেবীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার অলিগলি কিংবা রাস্তার মোড়ে হাতে হ্যান্ডমাইক আর লিফলেট নিয়ে হাজির হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী যাকারিয়া। এরপর সমবেত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন এবং তার মার্কায় (ইস্ত্রি মেশিন) ভোট চাচ্ছেন। তার এই ভোট চাওয়ার ধরণ ইতোমধ্যে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।
উল্লেখ্য, দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, কাউন্সিলর পদে ৬২ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভায় মোট ভোটার ১০ হাজার ৯১৪ জন।
You cannot copy content of this page