পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলনের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাকুরী দেয়া ও জমি দখল করে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে উপজেলার সিপাইপাড়া বাজারে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পঞ্চগড়-তেতুঁলিয়া মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক ভূক্তভোগী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ভূক্তভোগী শফিউল আলম (৪৮), স্থানীয় দোকানদার ওবায়দুর রহমান(৫২), শাহিনুর আলম(৬৫), জফির উদ্দীন (৬৫) প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। অন্যায়ভাবে মানুষের জমি নিজে দাড়িয়ে থেকে দখল করেছেন। কোন কিছুই মানেন না। তিনিই যেন রাস্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এমন অবস্থা। অনেককে চাকুরী দেয়ার নামে ও মানুষের জমি আরেকজনকে দখল করে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কেউ বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের জমি কিনতে চাইলে তার মাধ্যেমে কিনতে হবে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষজন। তার অনিয়ম, দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। তিনি ৩৪টির বেশি মামলার আসামী। তারপরেও জামিনে মুক্ত হয়ে দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অনেকের স্থানীয় সিপাইপাড়া বাজরের দোকানপাট ভেঙে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলায় মাদক মামলা সহ নানা মামলা দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি করা হয়েছে। অনেকে তার রোষানলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন। বাংলাবান্ধার মাটিতে তাকে আর দেখতে চাইনা। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দীঘলগাঁও এলাকার ভূক্তভোগী জফির উদ্দীন (৬৫) বলেন, মিলন চেয়ারম্যান তিনি গত ৫ বছর ধরে আমার জমি দখল করে খাচ্ছেন। দুঃখ রাখার জায়গা নেই। কাকে জানাবো এ বেদনার কথা। তিনি দলীয় পরিচয় বহন করে এতদিন লুটতরাজের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
পরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়-তেতুঁলিয়া মহাসড়কে জুতা দেখিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভূক্তভোগীরা।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন বলেন, অভিযোগকারীদের মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন ডাকাতি মামলার আসামী, একজন মাদক মামলার আর বাকীরা অকারণে গিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। আমি কখনো কারো জমি দখল করেছি এমন কোন প্রমাণ নেই। তাছাড়া আমি কখনো চাকুরী দেয়ুার নামে কখনো টাকা নেইনি। এর প্রমানও কেউ দিতে পারবেন না। এরা মুলত সরকারের পরিবর্তনের কারণে সুযোগের সদব্যবহার করা চেষ্টা করছে। আগে এরা আওয়ামী লীগের সাথে ছিল এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করছে। এদের সবাই চেনে।
You cannot copy content of this page