পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সদর, তেতুঁলিয়া ও বোদা উপজেলায় পৃথক পৃথক ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২ জন।
পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলায় বুধবার (৪ মে) বিকেলে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পুকুরীডাঙ্গা বালুরঘাট এলাকায় এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের জিয়াবাড়ি খালপাড়া এলাকার পয়গাম ইসলামের ছেলে নতুন (১৮), একই এলাকার তারেক বিল্লালের ছেলে শিশির (১৮) ও আব্বাস আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (১৬)। তবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নতুন, শিশির ও সিদ্দিক নামে তিন কিশোর মোটরসাইকেলে করে সদর উপজেলার ভিতরগড় মহারাজার দিঘী বেড়াতে যাচ্ছিল। পরে তারা তালমা-মডেলহাট সড়কের পুকুরীডাঙ্গা বালুরঘাট এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের হাতলে (হ্যান্ডেল) লাগলে তিনজন আরোহীর মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক থেকে ছিটকে পড়েন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নতুন, শিশির ও সিদ্দিককে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত রিপন ওই এলাকার গমির উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান জানান, মঙ্গলবার ঈদের দিন রাতে পরিবারের সবাই রাতের খাওয়া শেষে ঘুমাতে যান। পরে রাতে কুকুরের ডাকাডাকি শুরু করলে রিপনের বাবা গমীর উদ্দিন ঘর থেকে বের হলে রিপনের ঘরের বারান্দায় তাকে ঝুলতে দেখেন। পরে তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এলে তাকে উদ্ধার করে তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, গত ৭ মাস আগে তিরনইহাট ইউনিয়নের বাবুয়ানি হাট এলাকায় বিয়ে করেন রিপন। তবে তাদের সাংসারিক কোন ঝগড়া বিবাদ বা তেমন কিছুই ছিল না। তবে কিভাবে এমনটি হলো পরিবারের সদস্যরা কোন কিছুই বলতে পারছেন না।
অপরদিকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গুরু দাস (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের শাখারিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত গুরুদাস ওই এলাকার মৃত অন্যদা বর্মন এর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গুরুদাস বুধবার দুপুরে বোরো ধানক্ষেতে সেচ পাম্প দিয়ে পানি নেয়ার জন্য পাম্পের সুইচ চালু করতে যান। পরে পাম্পের টিউবওয়েলে হাত লেগে ঘটনাস্থলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া, তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ছায়েম মিয়া ও বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ চৌধুরী ঘটনা গুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
You cannot copy content of this page