বই উৎসবের মাধ্যমে পঞ্চগড়ে প্রাথমিক, এবতেদায়ি, দাখিল, মাধ্যমিক ও এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড় করতোয়া কালেক্টরেট সরকারি আদর্শ শিক্ষা নিকেতন মাঠে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। তবে জেলার প্রায় ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর হাতে বছরের প্রথম দিন বই প্রদান করা হয়েছে। অন্যদেরও শিগগির নতুন বই দেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষা বিভাগ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাসুদুল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আকতার, করতোয়া কালেক্টরেট সরকারি আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্কুল ক্যাম্পাসে নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকসহ অতিথিরা। পরে সেখানে ভাষা শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিষ্ণু প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বই উৎসবে যোগ দেন জেলা প্রশাসক। একই সময় জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শুরুর আগে অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছাসহ উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়। পরে স্কুলের প্রকাশনা এবং সিনিয়র শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সম্পাদনার একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অতিথিরা।
জেলা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলায় প্রাথমিক, এবতেদায়ি, দাখিল, মাধ্যমিক ও এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ৬২ হাজার ১০৯ জন। এদের মধ্যে এবতেদায়ি তিন হাজার ৪২২, দাখিল ১৬ হাজার ২৮৪, মাধ্যমিক ৮৯ হাজার ৪৫ এবং এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৮৯ জন। প্রাথমিক পর্যায়ে এ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬১ পিছ। প্রাথমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ২২ লাখ ৫১ হাজার ২৭৮ পিছ নতুন বই। তবে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি মোট শিক্ষার্থী ৫৫ শতাংশের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীও ক্রমান্বয়ে নতুন বই পাবে। বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ¦াস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আকতার বলেন, প্রাথমিক পর্যায় বাদে আমাদের এবতেদায়ি, দাখিল, মাধ্যমিক ও এসএসসি ভোকেশনাল পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী জন্য বই প্রয়োজন ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬১৭ পিছ নতুন বই প্রয়োজন। এর মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ বই বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। অন্যরাও শিগগির নতুন বই পাবে বলে আশা করি।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, একটা সময় ছিল যখন, নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নতুন বইয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। তবে গত ১১ বছর ধরে সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ১ জানুয়াারি সকালেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ায় হয়। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা বিশেষ উদ্যোগ। আশা করি এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
You cannot copy content of this page