পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৫২তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও ভারতের ১৭৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ফুলবাড়ী আইসিপি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এ প্যারেডের আয়োজন করা হয়।
এসময় মনোমুগ্ধকর এই প্যারেড দেখতে উভয় দেশের নাগরিকেরা জিরো পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিথিদের উপস্থিতিতে ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন।
এর আগে বিজিবি পায়রা উড়িয়ে ও বেলুন উড়িয়ে প্যারেড অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ উত্তর পশ্চিম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান। পরে প্যারেড শেষে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী একে অপরের মাঝে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বিশেষ স্মারকচিহ্ন বিতরণ করা হয়। পরে মিস্টি বিতরণ করা হয়। এদিকে প্যারেড শেষে উত্তর-পশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ও বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিজেন্টের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিএসএফের মহাপরিচালক নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মার, ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টার ডিআইজি শ্রী সুশীল কুমার, বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল যুবায়েদ হাসান ও বিএসএফের শিলিগুড়ী সেক্টরের ডিআইজি শ্রী পিকে সিং, সহ বিজিবি-বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা স্থানীয়রা ও পর্যটকেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্যারেড শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের বন্ধুত্বের একটি লক্ষণ এটা। সীমান্তে আমাদের দুই বাহিনী চমৎকার ভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ১৯৭১ সালে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত আমাদের যেভাবে সাহায্য সহায়তা করেছিল, এখনো আমাদের মাঝে যে সম্পর্ক বিরাজমান তার কারণে সীমান্তের যেকোনো সমস্যা আমরা সুন্দরভাবে সমাধান করতে পারছি। তাই আমরা দুই বাহিনী একত্রিত হয়ে বিজয়ের ৫২ বছর উদ্যাপন করছি। আপনারা যারা প্রত্যক্ষ করছেন প্রত্যেককে আমরা আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একই সময় ভারতের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পরম বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের মাঝে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভ্রাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়। এ ধরনের অনুষ্ঠান দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। দু’দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিবে। এ জন্য এই স্মরণীয় দিনটিকে আরও গৌরবান্বিত করার লক্ষ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বের এই নিদর্শন যৌথ রিট্রিট প্যারেডের আয়োজনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
You cannot copy content of this page