1. [email protected] : Shafiqul Alam : Shafiqul Alam
  2. [email protected] : Admin user : Admin user
  3. [email protected] : aminul :
October 18, 2024, 7:28 am
শিরোনাম :
অনলাইনে সরব : অডিও কলে সমন্বয়ককে ধমকালেন সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান সীমান্ত এলাকায় থাকা পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় তৎপর ৫৬ বিজিবি সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও গুজবে কান দিবেন না ঃ সীমান্ত এলাকার পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তৌহিদুর রহমান  পঞ্চগড়ে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্ত এলাকার পূজামন্ডব কর্তৃপক্ষ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিজিবির শুভেচ্ছা বিনিময়  পঞ্চগড়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামরা বিতরণ পঞ্চগড়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  পঞ্চগড়ে আওয়ামী নেতার দাপটে মালিকানা ও খাস জমিতে চলছে পাথর উত্তোলন ডাহুক নদ হুমকির মুখে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকায় বিজিবির আইন-শৃংখলা বিষয়ক সমন্বয় সভা এক দফা দাবিতে পঞ্চগড়ে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের স্বারকলিপি প্রদান পঞ্চগড়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

পঞ্চগড়ে সরকারী জমির বাঁশ কেটে সাবাড়, পর্যটনে বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা

Reporter Name
  • Update Time : Saturday, May 25, 2024
  • 252 Time View

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলায় সরকারী জমির বোম্বাই বাঁশ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে রেজাউল ইসলাম (৫৮) নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এতে বিশাল আকৃতির ও মোটা কাঞ্চন বা বোম্বাই বাঁশ দেখতে আসা পর্যটকদের নিরাশ করা সহ পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ ওঠে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুড়া এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে সরকারী জমিতে রোপন করা বোম্বাই বাশঁ চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রায় ১০ দিনের ব্যবধানে দুই শতাধিক বাঁশ কেটে ২৫-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন ওই ব্যাক্তি। তবে প্রকৃত পক্ষে ওইসব বাশেঁর দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা হবে বলে দাবী স্থানীয়দের। তবে বেআইনীভাবে সরকারী জমির বাশঁ কাটায় অভিযুক্ত রেজাউলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী স্থানীয় সহ সংশ্লিষ্টদের।


জানা গেছে, তেতুঁলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুড়া এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে জেলা পরিষদের পতিত জমি ছলিমন বেওয়া নামে এক নারীর নামে পর্তন করা ছিল। তবে ১৯৮২ থেকে ৮৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে রেজাউল ইসলাম নামে এই ব্যাক্তি ওই নারীর নিকট ১২ শতক জমি ২৭ হাজার টাকায় ডিড মূলে কিনে মালিকানা লাভ করেন। পরে ১৯৯৯ সালের দিকে রেজাউল ইসলাম ওই জমিতে বাড়ি তৈরী করেন। পরে ২০০২ সালের দিকে বাড়ির সামনের অংশে কয়েকটি কাঞ্চন বা বোম্বাই বাঁশ রোপন করেন। পরবর্তীতে সেই বাশঁঝাড় প্রায় দুই শতকের বেশি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফাঁপা ও মোটা আকৃতির হওয়ায় দৃষ্ঠিনন্দন এ বাশঁ দেখতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেতুঁলিয়ায় আসা হাজারো পর্যটক ভীড় জমান মাগুড়া, শারিয়াল জোত সহ আশপাশের এলাকায়। অনেকে বাঁশ দেখে আবার অনেকে ছবি তুলে উচ্ছসিত হন। তবে সরকারী জমিতে তিনি বসবাস করলেও কোন আইনী সরকারী জমির বাঁশ কেটে সাবাড় করেছেন ও পর্যটকদের নিরাশ করেছেন তা এখন স্থানীয়দের মনে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আইন অনুযায়ী সরকারী জমি পর্তন নেয়া হলে সেখানে স্থায়ী স্থাপনা কিংবা ইটের তৈরী কোন স্থাপনা করা যাবেনা। এমনকি ওই জমিতে কোন গাছ রোপন করলে তা কাটা যাবেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া। তবে সব আইনকে উপেক্ষা করে অনেকটা গায়ের জোড়েই সরকারী জমিতে থাকা এসব বাশঁ কেটে সাবাড় করেছেন রেজাউল।


ফরজন আলী, মীর আলী ও আব্দুর রহিম নামে তিনজন স্থানীয় ব্যাক্তি বলেন, রেজাউল ইসলাম বাশঁগুলো কেটেছেন এবং বিক্রি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে সরকারী জমিতে রোপন করা বাশঁ ও গাছ কাটা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে। কেউ বলছেন মনে হয় কাটা যাবে আবার কেউ বলছেন কাটা যাবেনা।
তবে অভিযুক্ত রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি জমিটি এক নারীর কাছে কেনার পরে বাড়ি করি এবং গাছ ও বাঁশ রোপন করি। তবে বাশঁগুলো মানুষের বাসা বাড়ি ও সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক তারের সাথে লেগে প্রায় বিভিন্ন সময় সমস্যার সৃষ্টি করতো বলে বাশঁগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছি। তবে সরকারী জমিতে রোপন করা বাঁশ বা গাছ কাটা যাবেনা ও পর্যটক বিকাশে সাহায্য করা বাশঁ কেন কাটলেন এবং কারো কাছে অনুমতি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকেন তিনি। তবে তিনি জানান, কাটা যাবে কিনা জানিনা। আমি কারো কাছে অনুমতি না নিলেও বাঁশ কাটার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।


তেতুঁলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন, সরকারী জমি পর্তন নিয়ে বেচা কেনা সম্পূর্ণ অবৈধ। সেই সাথে সেখানে লাগানো গাছ বা বাঁশ কাটাও দ-নীয় অপরাধ। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, যদি কেউ জেলা পরিষদের জমি বেচা কেনা কিংবা গাছ কেটে থাকে তাহলে তা বেআইনী। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | PanchagarhNews.com পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
Tech supported by Amar Uddog Limited

You cannot copy content of this page