আমদানি প্রচুর হলেও ক্রেতা সংকটে গরু প্রতি দাম কমেছে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত
ঈদের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। রবিবার ছিলো পঞ্চগড় জেলা শহরের রাজনগর পশুর হাট। হাটে ব্যাপক গরুর আমদানি হলেও ক্রেতার সংখ্যা ছিলো অনেক কম। এছাড়াও গেলো হাটের তুলনায় গরু প্রতি ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কম দরে বিক্রি হয়েছে গরু। এতে গরু খামারিরা বেশ হতাশ। তবে সাধ্যের মধ্যে গরু কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারা। এদিকে জেলার কোরবানির হাটগুলোতে অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কয়েকটি হাটে জরিমানাও করা হয়। সেনবাহিনীর অভিযানে জেলার বোদা উপজেলার নগরকুমারী হাটে অতিরিক্ত ফি নেয়ায় ইজারাদারকে ৫০ হাজার টাকা, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ হাটে অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ইজারাদারকে ১ লাখ টাকা এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার রাজনগর পশুরহাটে ইউনিয়ন পরিষদের নামে টাকা আদায় করায় হাটের ৪ কর্মীকে ছোট অঙ্কের জরিমানা করা হয়। রবিবার রাজনগর হাটে অভিযানে নেতৃত্ব দেন পঞ্চগড় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়াম। এ সময় অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, রাজনগর পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুস সামাদ পুলকসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়ের খামারি মনির হোসেন বলেন, আমার খামারের এই ষাড় দুটি বাজারের সবচেয়ে বড়। একটার ১০ মণ আরেকটার ১২ মণ মাংস হবে। আমি দাম চেয়েছি ৯ লাখ টাকা। ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে ক্রেতারা। এই টাকায় বিক্রি করলে আমার গরুর খাবার খরচই উঠবে না। বাজার অনেক কমে গেছে। ক্রেতারা সংখ্যাও খুব কম।
ক্রেতা জালাল উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বাজারে কোরবানির পশুর দাম অনেক কম। সাধ্যের মধ্যেই কেনা যাচ্ছে।
রাজনগর পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি হায়াতুন আলম বলেন, রাজনগর পশুর হাটে প্রচুর গরু আমদানি হয়েছে। দাম কিছুটা কম। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমাদের অনেক কর্মী কাজ করছে। গরুর ফি ৪০০ করে এবং ছাগলের ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাবুল হোসেন বলেন, এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। আমাদের এখানে তার চেয়েও প্রায় ২৪ থেকে ২৫ হাজার বেশি পশু রয়েছে। জেলার ১৬ টি পশুরহাটে পশু কেনা বেচা হচ্ছে। প্রতিটি হাটে অসুস্থ পশু পরীক্ষার জন্য আমাদের টিম রয়েছ
You cannot copy content of this page