পঞ্চগড়ে তাওহীদ মডেল মাদরাসার এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে মাদরাসা পরিচালনা কমিটিতে না থাকলেও আবুল বাশার নামের এক ব্যবসায়ীর নাম জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে আবুল বাশার বলেন, তিনি তাওহীদ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য। এই ফাউন্ডেশনের অধিনে সারা দেশে ৪৫ টি’রও বেশি মাদরাসা রয়েছে। প্রত্যেক মাদরাসাই স্থানীয় পরিচালনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদরাসা থেকে এতিম শিশুদের লেখাপড়া ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা, গরিব কন্যাদের বিবাহে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, গত ১৮ মে পঞ্চগড় জেলা শহরের কায়েতপাড়া এলাকার মডেল মাদরাসার ১৩ বছরের এক ছাত্রী কয়েকবার বমি করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে পঞ্চগগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি পরে তিনি জানতে পারেন। এই ঘটনাকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই ছাত্রীর মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের এই বিষয়ে কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও আবুল বাশারের নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি শুনেছি ওই মাদরাসা ছাত্রী কয়েকবার বমি করার পর তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। তারপরও কোন কিছু জানার থাকলে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করুন্। কিন্তু তা না করে আমার হেয় করার জন্য ওই ঘটনায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে। হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। মূলত শান্ত নামে ওই মাদরাসা ছাত্রীর দূর সম্পর্কের এক বোন জামাতা আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় এভাবে আমার ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমি তো মাদরাসার কেউ না তাহলে আমার নাম আসছে কেন? আমি তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ওই মাদরাসা ছাত্রীর মা মহসিনা বেগম বলেন, এই মাদরাসা থেকে অসহায় মানুষদের সহায়তা করা হয়। কেউ বিবাহযোগ্য মেয়েকে বিয়ে দিতে না পারলে তাকে সহায়তা করা হয়। তারা কখনোই আমার মেয়ের সাথে এমন কিছু করবে না যা মাদরাসার জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু কয়েকজন জোর করে আমাদের কাছে নেতিবাচক বক্তব্য নিয়ে প্রচার করেছে। আমি চাই না আমার মেয়েকে নিয়ে আর কোন কথা হোক।
You cannot copy content of this page