বিশেষ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সহ প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ করার মত। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এবং পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন সহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা বাজার মনিটরিং করছেন। জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে তল্লাসি চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। মানুষ যেন অকারণে বাইরে অবাধ চলাচল না করে সেজন্য সকলকে মাইকিং করে নিষেধ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা, উপজেলা শহর সহ গ্রামের হাট-বাজার গুলোতে সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে জেলায় শপিংমল, বিপনী বিতান গুলোও বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকে বাইরে বের হয়েছেন। এছাড়া মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে রিক্স্যা-ভ্যান ও মোটরবাইক চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রিক্স্যা-ভ্যানে যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। সড়ক-মহাসড়কে পন্যবাহী ট্রাক, ঔষুধ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত গাড়ি, ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান ছাড়া কোন অন্য কোন পরিবহন চোখে পরেনি। ফলমুল সহ নিত্যপন্যের দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করেছেন দোকানদারেরা। এদিকে লকডাউনে বাইরে বের হতে না পেরে আয় বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগে পরেছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কঠোর লকডাউন চলায় মানুষজন বাইরে বের না হওয়ায় যাত্রীর অভাবে খালি ভ্যান নিয়ে বসে আছেন অনেক রিক্সা-ভ্যান চালক।
আজিজুল ইসলাম নামে এক ভ্যান চালক জানান, একদিকে বর্ষাকাল অন্যদিকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। মানুষ তো বাইরে বের হচ্চেনা। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের তো না খেয়ে মরতে হবে। সরকার যদি আমাদের দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা খেয়ে ফিরে চলতে পারবো।
You cannot copy content of this page