বিশেষ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। ৬ জনই আটোয়ারী উপজেলার বাসিন্দা। ২২জুন ২৩টি নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর পর ৬ জনের করোনা পজেটিভ আসে। ২৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬৬ জন। মোট মৃত্যূ ২৩ জন। এ বছরে এ পর্যন্ত মোট ১৯৭ জন এবং চলতি মাসে ১২৫ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. মো ফজলুর রহমান শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে পঞ্চগড়ে নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা সনাক্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে পরীক্ষা এবং সনাক্ত তেমন ছিল না। এ পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআর, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে এবং পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে র্যাপিট এন্টিজেন টেষ্ট পরীক্ষায় ৫ হাজার ৯৮০ জনের ফলাফল এসেছে। সব মিলিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬৬ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৯৬ জন, তেতুঁলিয়ায় ১১০ জন, আটোয়ারীতে ১৩৩ জন, বোদায় ১৫২ জন এবং দেবীগঞ্জে ১৭৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে ৮২৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩১৭ জন, তেতুঁলিয়ায় ৯৩ জন, আটোয়ারীতে ১১৬ জন, বোদায় ১৩৯ জন এবং দেবীগঞ্জে ১৬২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছে ২৩ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২ জন, তেতুঁলিয়ায় ০১ জন, আটোয়ারীতে ০৩ জন, বোদায় ০২ জন এবং দেবীগঞ্জে ০৫ জন। হোম আইসোলেশনে আছে ১১৬ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬৭ জন, তেতুঁলিয়ায় ১৬ জন, আটোয়ারীতে ১৪ জন, বোদায় ১১ জন এবং দেবীগঞ্জে ৮ জন।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো ফজলুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ০৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৯৬৬ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। চলতি মাসে পঞ্চগড়ে নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা আক্রান্ত সনাক্ত দুটিই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কারো শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। আমরা নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর পর সেখান থেকে আবারো নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে তারা জানাবে কারো শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে কিনা। তিনি আরো জানান, সর্দি জ্বর, কাশি বা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিলেই সকলকে করোনা পরীক্ষার জন্য বলা হচ্ছে। এখানে কোন আইসিইউ নেই। তবে করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত জনবল এবং অক্সিজেনের সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। এ পর্যন্ত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা সুস্থ আছেন এবং নিজ বাসাতেই হোম আইসোলেশনে আছেন। এজন্য সকলকে নিয়োমিত মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
You cannot copy content of this page