মুজিব শতবর্ষে উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলায় নতুন করে আরও ৭১৫টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন। রোববার এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের-২ আওতায় এসব ঘর নির্মাণ হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সকাল সাড়ে নয়টায় সকল উপজেলা পরিষদ হলরুম থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান পঞ্চগড় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পঞ্চগড়ের সব উপজেলায় গৃহ নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই শতক জমিসহ নির্মিত ঘর এরই মধ্যে দলিল কবুলিয়ত ও মিউটেশন সম্পন্ন করে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ মনিটরিং এবং সুপারভিশনে এ জেলার ভূমিহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে পালন করেন।
পঞ্চগড়ে উপকারভোগীদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০০টি, বোদায় ১৭টি, দেবীগঞ্জে ১৭৮টি, আটোয়ারীতে ১১০টি এবং তেঁতুলিয়ায় ১১০ সহ ৭১৫ টি অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারকে এ ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য জেলায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি পরিবারকে দুই শতক জমিসহ দুটি করে শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর. একটি শৌচাগার, বারান্দা ও সুপেয় পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে পঞ্চগড় জেলায় ১০৫৭টি পরিবার ঘর পান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাদ জাহান, পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু সহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। #
You cannot copy content of this page