বিশেষ প্রতিনিধি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন-গৃহহীন পরিবারদের জমি ও গৃহ প্রদান ২য় পর্যায়ের সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়ে ৭১৫ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (২০ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে দেশের সকল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক যোগে এসব ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক ঘর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং উপকার ভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেনসহ সরকারী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী ও উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুজিব শতবর্ষে উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি উপজেলায় নতুন করে আরও ৭১৫টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার ঘর দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের-২ আওতায় এসব ঘর নির্মাণ হয়েছে। পঞ্চগড়ের সব উপজেলায় গৃহ নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই শতক জমিসহ নির্মিত ঘর এরই মধ্যে দলিল কবুলিয়ত ও মিউটেশন সম্পন্ন করে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ মনিটরিং এবং সুপারভিশনে এ জেলার ভূমিহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকরা প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে পালন করেন।
পঞ্চগড়ে উপকারভোগীদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০০টি, বোদায় ১৭টি, দেবীগঞ্জে ১৭৮টি, আটোয়ারীতে ১১০টি এবং তেঁতুলিয়ায় ১১০ সহ ৭১৫ টি অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারকে এ ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য জেলায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি পরিবারকে দুই শতক জমিসহ দুটি করে শোয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর. একটি শৌচাগার, বারান্দা ও সুপেয় পানির জন্য নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে পঞ্চগড় জেলায় ১০৫৭টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার ঘর পান।
You cannot copy content of this page