পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি মামলার রায় প্রকাশের পর বিক্ষুব্ধ বাদী পক্ষের আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতি। পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) আদম সুফি বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন গত ২০ এপ্রিল পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলার রায় প্রকাশের পর উশৃঙ্খল কিছু ব্যাক্তি বিজ্ঞ আদালত সমুহের বিষয়ে সম্মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে। উক্ত বক্তব্যে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতি দুঃখ প্রকাশ সহ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি বস্তুনিষ্ঠ নহে। কতিপয় উশৃঙ্খল ব্যাক্তি বিজ্ঞ আদালত ও আইনজীবীদের সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। তাই পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত তথ্য সমুহ প্রত্যাখ্যান করছি।
এসময় জেলা জজ আদালতের গভর্মেন্ট প্লিজার (জিপি) আব্দুল বারী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পঞ্চগড়ের সভাপতি এডভোকেট নাজমুল ইসলাম কাজল, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন , আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক এডভোকেট মাহাবুবুউল ইসলাম, আহ্বায়ক সদস্য এডভোকেট গোলাম হাফিজ সহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পিপি আদম সুফি আরো বলেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তের জন্য একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে সভার সভাপতি বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২০ এপ্রিল দুপুরে পঞ্চগড়ে একটি হত্যা মামলার সকল আসামীকে খালাস দেয়ায় রায়ের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান ও বিক্ষোভ করে বাদী পক্ষ।
জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের ঝালিংগীগছ গ্রামে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এরশাদ নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে পরদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামী করে তেঁতুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এরশাদের বাবা কসিরউদ্দিন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত ২০ এপ্রিল এই মামলার রায় প্রদান করে আদালত। রায়ে আসামী পক্ষের সবাইকে খালাস দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক বিক্ষুব্ধ বাদী পক্ষ আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
You cannot copy content of this page