1. [email protected] : Shafiqul Alam : Shafiqul Alam
  2. [email protected] : Admin user : Admin user
  3. [email protected] : aminul :
November 21, 2024, 10:24 am
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা পঞ্চগড়ে রাবার ড্যাম পার্কের সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন  পঞ্চগড়ে বিএনপির বর্ধিত সভা পঞ্চগড়ে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামুলক কর্মশালা পঞ্চগড় রেলস্টেশনে ফেন্সিডিল বহনকারী তরুণকে গ্রেপ্তার পঞ্চগড়ে অনুমোদনহীন বিদেশি অ্যাপসের অফিস উদ্বোধন করে যৌথবাহিনীর হাতে ৩ জন আটক পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মত চারুকলা ও শারিরিক শিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা পঞ্চগড়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের কেন্দ্রীয় কমিটি ও দিনাজপুর অঞ্চলের ইলেকশন ২০২৪ সম্পন্ন  পঞ্চগড়ে বিজিবির চোরাচালান অভিযানে বাঁধা ও অপপ্রচারের অভিযোগ 

ভাইবোনছড়া গুচ্ছগ্রাম: পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত বাঙালীদের নিদারুণ কষ্টের প্রতিচ্ছবি

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, November 21, 2017
  • 1821 Time View

গুচ্ছগ্রাম খুব সুন্দর একটি নাম। যারা পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন তাদের কাছে নামটি খুবই পরিচিত। তবে যারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাস করেন তাদের কাছে এটি খু্ব বেশি পরিচিত নাম নাও হতে পারে, বিশেষ করে পার্বত্যাঞ্চলের গুচ্ছগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য ছোট বড় গুচ্ছগ্রাম রয়েছে যার বেশীর ভাগেরই অবস্থা প্রায় এক ও অভিন্ন।

আজ আমি তেমনই একটি গুচ্ছগ্রামে আমার সাম্প্রতিক অবলোকনের প্রতিচ্ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্ট করব। যার নাম ভাইবোনছড়া গুচ্ছগ্রাম। এটি রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় অবস্থিত।

মূল লেখায় যাবার আগে এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি জনগোষ্ঠী কারও তাড়া খেয়ে, যাযাবর হয়ে বা কারও দয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে আসেনি। রাষ্ট্রের প্রয়োজন মেটাতেই কিছু বাঙালি পরিবারকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছিলো। তৎকালীন সময়ের পাহাড়ের ভূমিরূপ, খাদ্য এবং সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি তাদের বসবাসের জন্য উপযোগী ছিল না। তা সত্ত্বেও প্রাচীনকাল থেকে সেখানে বাঙালিদের যাতায়াত ও বসবাস ছিল।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহায়তায় ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হলে সেখানে যোগাযোগসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। ফলে উন্নয়ন কাজ সমাধা করার জন্য প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পাহাড়িরা এই কাজে অভ্যস্ত বা অভিজ্ঞ ছিল না। যার কারণে বাঙালিরা এই কাজে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে।

এক্ষেত্রে বাঙালি শ্রমিকদের পক্ষে গহিন পাহাড়ি অরণ্যে কাজ করে দিনে দিনে ফিরে আসা সম্ভব ছিল না। ফলে নিকটবর্তী স্থানে তাদের বসতি গড়তে হয়। কোনো উপজাতি শ্রমিক উন্নয়নের কাজে সহায়তা করতে চাইলেও তৎকালীন শান্তিবাহিনীর বাঁধা ও হুমকির মুখে তারা তা করতে পারত না। কারণ, সন্ত্রাসীরা সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন বিরোধী ছিল। শান্তিবাহিনী কর্তৃক নিরীহ বাঙালি হত্যা, নির্যাতন প্রক্রিয়া রোধ করতেই গুচ্ছগ্রাম সৃষ্টি করে বাঙালি ও উপজাতিদের নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসা হয়।

এ প্রক্রিয়ায় বাঙালিদের জন্য ১০৯টি গুচ্ছগ্রামে ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৭ ব্যক্তিকে জায়গা-জমি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু শান্তিবাহিনীর নির্যাতন আর অরাজকতার ফলে বাঙালিরা সরকার প্রদত্ত তাদের বসতভিটা ও চাষের জমিতে যেতে পারতো না, ফলে ধীরে ধীরে ঐ সমস্ত জমি উপজাতিরা দখল করে নিতে থাকে। সেই আশির দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালিরা আর তাদের সেই ভিটা ও আবাদি জমি ফেরত পায়নি। প্রতিবছর খাজনা দিয়ে ডিসি অফিসের খাতায় জমির দখল স্বত্ব বহাল রাখলেও তাতে বসত বা আবাদ করতে পারছে না।
এবার মূল লেখায় আসি। ভাইবোনছড়া বাঙালি অধ্যুষিত একটি এলাকা যা লংগদু উপজেলা সদর হতে ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণে কাপ্তাই হ্রদের নীল পানি ও সবুজ পাহাড়ে ঘেরা বন্দুকভাঙ্গা হিল রেঞ্জের পূর্ব পাশে অবস্থিত। বাঙালি ও উপজাতিদের মাঝে জমি বিরোধ নিয়ে ঐ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাঙালি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে গত ১৫ মে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার তৎকালীন লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট মৌজার হেডম্যান, কারবারী ও স্থানীয় কানুনগো এর মাধ্যমে ৯ জন গ্রুপ লিডারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আগত ৪৬৩ টি বাঙালি পরিবারকে (আনুমানিক জনসংখ্যা ৩১০০) প্রায় ৫৯৭ একর জমি বরাদ্দ দেয় এবং প্রতিটি পরিবার ৩ একর করে জমি প্রাপ্ত হয়।

স্থানীয় বয়স্ক বাঙালিদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ১৯৮৭ সালে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ২৩ জন বাঙালিকে ভাইবোনছড়া এলাকা হতে অপরহরণ করে যারা আর কোন দিন তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসেনি। তৎকালীন সরকার বাঙালিদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঐসব পরিবারকে বন্দোবস্তি জমি হতে সরিয়ে এনে মাত্র ৪০টি পরিবারকে গুচ্ছগ্রামে পূর্ণবাসিত করে যারা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ রেশন পেয়ে থাকে।

অবশিষ্ট বাঙালি পরিবার (৪২৩ পরিবার) সমূহ সরকারী যাবতীয় সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়। ঐ বিশাল জনগোষ্ঠী যত্রতত্রভাবে যে যেখানে পেরেছে আশ্রয় নিয়েছে। বেশীর ভাগই অন্যের আঙ্গিনায় কিংবা রাস্তা/বাজার/স্কুলের পাশে কোন মতে মাথা গুঁজে ঠাই নিয়েছে। ভাইবোনছড়া বাজারের আশেপাশে এবং ভাইবোনছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে এভাবে গড়ে ওঠা বহুসংখ্যক জীর্ণ বাড়ী যেন তারই বিমর্ষ প্রতিচ্ছবি।

নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা বাঙালিদের নিরাপত্তা বিধানে ১৯৮২ সালে সেখানে একটি সেনা ক্যাম্প এবং পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন একটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে একটি ক্যাম্প রেখে এপিবিএন এর হেডকোয়ার্টার মহালছড়িতে স্থানান্তরিত হলে স্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ইউপিডিএফ’র উপদ্রব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তিনটি আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের ছত্রছায়ায় কিছু স্বার্থান্বেষী উপজাতি ব্যক্তিবর্গ দলিল/কাগজপত্র ব্যতীত বাঙালিদের জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, ১৯৮৭ সালে ২৩ জন বাঙালি অপহরণ হওয়ার পর হতে বৈধ দলিল পত্র ছাড়াই উপজাতিরা বাঙালিদের জমির উপর আস্তে আস্তে প্রভাব খাটাতে শুরু করে এবং তা নিজেদের দখলে নিতে শুরু করে। বাঙালিরা তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে গেল উপজাতিরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এছাড়া প্রায়শঃই তারা বাঙালিদের গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি গৃহপালিত পশু ধরে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সম্ভাব্য দাঙ্গা এড়াতে ঐসব বিরোধপূর্ণ ভূমির উপর মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিলে বাঙালিরা তা মেনে চলে।

 

পক্ষান্তরে উপজাতিরা তা না মেনে সুপরিকল্পিতভাবে বাঙালিদের চাষের জমি দখল এবং বসত ভিটায় নতুন নতুন বাড়ী তৈরী করা শুরু করে। সরেজমিনে দেখা যায় শুধু গত ২-১ বছরের ব্যবধানে পাহাড়ীরা বাঙালিদের বসত বাড়ীতে শতাধিক নতুন বাড়ী তৈরী করেছে। এমনকি বারবুনিয়া আর্মড পুলিশ ক্যাম্পের ২০০-১০০ গজ পশ্চিমেও বহু নতুন বাড়ী তৈরী করা হয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় এবং তাদের আর্থিক সহায়তায় ঐসব বাড়ী তৈরী করা হচ্ছে। দীর্ঘ ২৯ বছরের ব্যবধানে স্বাভাবিক নিয়মে প্রত্যেকটি বাঙালি পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে তাদের আর্থিক সংকট (৫১৫ পরিবারে বর্তমান আনুমানিক জনসংখ্যা ৪৬০০)। অনেকে প্রাণের ভয়ে নিজ বসত বাড়ী ছেড়ে সমতলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

চাষাবাদের জমি না থাকায় অনেকেই শুধু মাছ ধরার মাধ্যমে কোন রকম দিনাতিপাত করছে, যে বয়সে একটি শিশুর বই হাতে স্কুলে যাওয়ার কথা সে সময় তাকে বৈঠা হাতে জাল কাঁধে মাছ শিকারে বের হতে হচ্ছে। অপুষ্টি এদের জীবনের আর একটি অভিশাপ।

গত কয়েক দিন আগের ভারী বর্ষণে হঠাৎ করেই লেকের পানি বেড়ে তলিয়ে যায় ভাইবোনছড়া গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন আনোয়ার টিলা। এখানে ৩৫ টি বাঙালি পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে গত ২/৩ দিনে ১৫ টি বাড়ীর ভুমি ক্ষয় হয়ে পানিতে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে যায় এবং অন্তত ১০ টি বাড়ী মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ফলে ৩/৪ টি পরিবার একই ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে এবং ৪টি পরিবারের মাথা গুঁজার ঠাই হয়েছে ভাইবোনছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এলাকার একমাত্র মসজিদটিও ভয়াবহ ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে লংগদুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভারপ্রাপ্ত থানা কর্মকর্তা এবং ইউপি চেয়ারম্যান উক্ত এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

প্রতি বৎসর যখন সরকারীভাবে তিন মাস (মে হতে জুলাই) মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে তখন গুচ্ছগ্রামের বাঙালীদের জীবন নির্বাহের আর কোন পথ থাকে না। অনেকেই জড়িয়ে পরে নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ডে এমনকি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায়কারী হিসাবেও কাজ করতে বাধ্য হয়। সন্ত্রাসীরা খুব সহজেই সুযোগ নিচ্ছে তাদের এহেন দুর্বলতার।

সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ঐসব বাঙালি পরিবারের সদস্যগণ এক নিদারুণ ও বর্ণনাতীত বৈষম্যের স্বীকার হয়ে মাটি কামড়ে বেঁচে আছে। অনেকেই গরু-ছাগলের সাথে গোয়াল ঘরে শুয়ে রাত কাটায়। শিক্ষা, চাকুরী ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজাতিদের জন্য কোটা বরাদ্দ থাকলেও বাঙালিদের জন্য কোন কোটা না থাকায় ধীরে ধীরে তারা উপজাতিদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

উদাহরণ হিসেবে একই ইউনিয়নের ফোরেরমুখ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হতভাগা ছাত্র-ছাত্রী বাঙালি হলেও উপজাতি কোটার কারণে শতভাগ শিক্ষকই (ছয় জন) উপজাতি। নিজ দেশেই বৈষম্যের স্বীকার হয়ে দেশের জন্য চরম বোঝা হয়ে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে বেড়ে উঠছে এক নতুন প্রজন্ম। নিশ্চিত অন্ধকারই যাদের একমাত্র ভবিষ্যৎ।

শান্তি চুক্তির পর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহারের ফলে উপজাতিরা বাঙালিদের জমি দখল করে বসতি স্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে, বেড়েছে তাদের চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড। অস্ত্রের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে এবং উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে আপোষ করে চলছে তাদের জীবন।

উপজাতিরা যাতে অবৈধভাবে খাস জমি দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে এবং ইতিমধ্যে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করে বাঙালিদের মাথা গুঁজার ঠাই করে দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | PanchagarhNews.com পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
Tech supported by Amar Uddog Limited

You cannot copy content of this page