1. [email protected] : Shafiqul Alam : Shafiqul Alam
  2. [email protected] : Admin user : Admin user
  3. [email protected] : aminul :
May 11, 2025, 8:17 am
শিরোনাম :
চাঁদা না পেয়ে কাজে বাঁধা : চেয়ারম্যান-বিএনপি নেতার সঙ্গেও উচ্চবাচ্য বিএনপির ওয়ার্ড নেতার পঞ্চগড়ে প্রথমবারের মতো চালু হলো জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ সেন্টার
জাপানে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন
৮ মাসে ১৭০০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করতে হয়
নওশাদ জমির
যেখানেই যাবেন তারা ভাগ চায়-ফরহাদ হোসেন আজাদ মাদরাসা পালিয়ে তেঁতুলিয়ায় আব্দুল্লাহ
বাবা মায়ের কাছে পৌছে দিলো
আহছানিয়া মিশন
পঞ্চগড়
অনলাইন জুয়াকে লালকার্ড প্রদর্শন 
বিপিয়ান অ্যালামনাই এসোসিয়েশন বিষয়ক আলোচনা সভা।। পঞ্চগড়
সাংবাদিকের পুকুরে বিষ দিয়ে
মাধ নিধন
প্রকাশিত সংবাদের তথ্য প্রত্যাখ্যান পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির আওয়ামী লীগ নেতা দিলেন ফুল, নির্বাচিতের চার দিনের মাথায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি খেলেন শোকজ

পঞ্চগড়ে চাকরি করতে গিয়ে কোম্পানির প্রতারকের ফাঁদে ৮ তরুণ

আবু সালেহ মো রায়হান
  • Update Time : Saturday, July 3, 2021
  • 1135 Time View

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রতিষ্ঠানটির নাম লাইন এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। ঠিকানা ঢাকার মীরপুর দেয়া হলেও মালিকের বাড়ি পাবনা জেলার ইশ^রদী উপজেলার জয়নগর শেখেরদাইড় এলাকায়। কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের নাম এসএম হেলাল থাকলেও সবকিছু দেখভাল করেন তার ছোট ভাই ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম। ২০১৭ সালের শেষ দিকে শরিফুলের এই কোম্পানিতে ভাল বেতনে চাকরির আশায় যোগ দেন পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলার তরুণরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া কমলাপুকুরী এলাকার সামশুদ্দীন, দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ডাঙ্গীপাড়া এলাকার উত্তম কুমার রায়, রংপুর হারাগাছ সরাই হাজীপাড়া এলাকার মাহমুদুল হাসান, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার অংশরাজ এলাকার বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়, একই উপজেলার সোনারায় বসুনিয়াপাড়া এলাকার শরিফুল ইসলাম, বড়গাছা দরগাপাড়া এলাকায় শরিফুল ইসলাম, সোনারায় খাটুরিয়া এলাকার রাজিব ইসলাম ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার খানসামা এলাকার প্রদীপ কুমার রায়। তাদের মার্কেটিং অফিসার, এরিয়া ইনচার্জ, সেলস প্রমোশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই নওগাঁয় ওই প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও কীটনাশক ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। তারপরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে ভুক্তভোগী তরুণরা জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম সম্পর্কে। পরে তারা চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু আজও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলামের প্রতারণার ফাঁদ থেকে বের হতে পারেনি তারা। ভুক্তভোগী এই তরুণরা সম্প্রতি পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই প্রতারণার বিষয়টি অবহিত করেন।
ভুক্তভোগী তরুণরা জানান, জামানত হিসেবে শরিফুল তাদের কাছে ফাঁকা চেক ও ৫০ হাজার টাকা করে নেন। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই বেড়িয়ে আসতে থাকে প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ ব্যবসার কথা। বিষয়টি জানার পর কেউ তিন মাস, কেউ পাঁচ মাস আবার কেউ ৬ মাস চাকরি করার পর সব মালামাল শরিফুলকে জমা দেয়ার পর চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু চাকরি ছেড়ে দেয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজও শরিফুলের ফাঁদ থেকে বের হতে পারছেন তারা। ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুলের হাতে তাদের ফাঁকা চেক থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। শরিফুল তাদের ওই চেক দিয়ে মামলা দেয়াসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলেও জানান তারা।
সামশুদ্দীন বলেন, ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম আমাদেরকে ভাল বেতনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে চাকুরিতে নেয়। আমার মতো অনেক বেকার চাকুরির আশায় ওই কোম্পানি বিভিন্ন পদে যোগ দেই। যোগাদানের সময় আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে জামানত এবং ফাঁকা চেক নেয়। যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানতে পারি প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। তারপরেই আমরা সবকিছু তাদের বুঝিয়ে দিয়ে চাকরি বাদ দেই। প্রথম দুই তিন মাস বেতন পেলেও পরে আর কোন বেতন পরিশোধ করেনি কোম্পানি।
বিশ^দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, শরিফুলের কাছে আমাদের ফাঁকা চেক রয়েছে। চেকগুলো রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের। ওই চেক এখন সে ডিজঅনার্স করার জন্য ব্যাংকগুলোতে পাঠাচ্ছে। আমরা তার সব মালামাল বুঝিয়ে দিলেও এখন আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলারও করেছি। বেকারত্ব ঘুচানোর জন্য এই করোনার দুঃসময়ে চাকরিতে যোগদান করে এখন আমরা বিপাকে পড়েছি।
মাহমুদুল হাসান বলেন, নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে শরিফুল তার অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য চালাতেন। আমরা তার অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় সে এখন আমাদের পেছনে লেগেছে। তার হাতে আমাদের চেক থাকায় আমরা তার ফাঁদ থেকে বের হতে পারছি না। প্রতিনিয়ত অশান্তির মধ্যে কাটছে। আমরা এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে শরিফুল ইসলাম বলেন, তারা যেসব অভিযোগ করছে তা মিথ্যে। তাদের আমি চাকরি দিয়েছিলাম। তাদের কাছে আমার কোম্পানির ৭০ লাখ টাকার মালামাল আছে। তারা মালামাল বুঝে দিয়ে চেক নিয়ে যাক।


Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | PanchagarhNews.com পঞ্চগড়ে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
Tech supported by Amar Uddog Limited

You cannot copy content of this page