বিশেষ প্রতিনিধি
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন স্থাপন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ৩৮ জন জমির মালিককে এক কোটি ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৩ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মাসুদুল হক ও পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম সফিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একই প্রকল্পের অধীনে দুইশত জনকে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১২ কোটি ৮০ লাখ ১২ হাজার ৪৮৯৭ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান জানান, পঞ্চগড় জেলার চারটি উপজেলার ৬৭ টি মৌজার উপর দিয়ে এই পাইপ লাইনটি ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রবেশ করেছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ২৬৫ জন ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৮৫০ টি আবেদনের উপর আপত্তি দাখিল হয়েছে। এসব আপত্তি দ্রুত নিস্পত্তির করে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাইপ লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারতের শিলিগুড়ির নুমালীগড় তেল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানী তেল সরবরাহ করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এ পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করা যাবে। পঞ্চগড় জেলায় ৬৭ কিলোমিটার পেরিয়ে, ঠাকুরগাঁও অতিক্রম করে পাইপ লাইনটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে পৌঁছাবে। ৫২০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে ভারত ৩০৩ কোটি রুপি এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ২১৭ কোটি টাকা এই পাইপ নির্মাণে যৌথভাবে ব্যয় করবে। এ পাইপ লাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার । এর মধ্যে ৫ কি.মি রয়েছে ভারতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে তিন বছর। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের মানুষ জ্বালানী সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা। #
You cannot copy content of this page