বিশেষ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় একটি ধান ক্ষেতের আইল থেকে নবজাতককে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের আওকারী পাড়া এলাকা থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বোদা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। বর্তমানে শিশুটি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের স্ক্যানু বিভাগে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
জেলা সমাজসেবা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আওকারী পাড়া এলাকার একটি ধান ক্ষেত থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান সুমিলা রাণী নামে এক নারী। পরে তিনি নাসিমা নামে আরেক নারীকে জানালে তিনি ও তার স্বামী লাল মিয়া সহ শিশুটিকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। পরে তারা বিষয়টি জানাতে বোদা থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর শিশুটিকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাসিমা আক্তার নামে ওই নারী বলেন, বুধবার রাতে সুমিলা নামে প্রতিবেশি এক নারী শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে আমাদের ডাকেন। পরে আমার স্বামী সহ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসি। বাচ্চাটির নাড়িও কেউ কাটেনি। আমি বাসায় নিয়ে এসে বাচ্চাটির নাড়ি কাটি। কে বা কারা বাচ্চাটিকে এখানে ফেলে গেছে জানিনা। বাচ্চাটিকে জোঁকে ধরেছিল। পরে আমরা জোঁকটি ছাড়াই। আমি এই বাচ্চাটিকে লালন পালন করতে চাই।
ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ররেশ চন্দ্র রায় বলেন, রাত তিনটায় স্থানীয় লোকজন আমাকে জানায় একটি ধান ক্ষেতের পাশে একটি বাচ্চা পাওয়া গেছে। পরে তারা বাচ্চাটি উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। আমি ইউপি চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনকে অবহিত করলে তারা বাচ্চাটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডা মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশুটির শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে ২৪ ঘন্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বাচ্চাটিকে স্যালাইনের মাধ্যেমে খাবার দেয়া হচ্ছে। তবে বাচ্চাটির শারিরীক গঠন এখনো ঠিক হয়নি। কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে। তবে আমরা সার্বক্ষনিক তার শারিীক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছি।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী জানান, উদ্ধার হওয়া বাচ্চাটি জেলা সমাজসেবার মাধ্যেমে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাচ্চাটিরে দ্বায়িত্ব কে নেবে বা কাকে দেয়া হবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page