পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সদর ও তেতুঁলিয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা ছেলে সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার চাকলারহাট ইউনিয়নের নতুনবন্দর এলাকায় এবং তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের কৈমারী এলাকায় এ দূর্ঘটনা দুটি ঘটে৷নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার সাবেক বিজিবি সদস্য আব্দুল আজিজ ওরফে কালু বিডিআর (৫৫), তাঁর ছেলে বিজিবি সদস্য আরিফ হোসেন (২৪) এবং তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের সোনাকান্দর এলাকার মোহাম্মদ দেবারুর ছেলে জিয়া (৪২)।
বিজিবি সদস্য আরিফ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিজিবি সদস্য আরিফ ছুঁটিতে বাসায় ফিরে উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাঠান পাড়া এলাকার রুবেল ইসলামের মেয়ের সাথে গত ২৪শে মার্চ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে বিজিবি সদস্য আরিফ বোরবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ব্যাক্তিগত কাজ শেষে তার বাবা আব্দুল আজিজ কে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সদর উপজেলার চাকলাহাট বাজার থেকে হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এসময় তারা ওই চাকলাহাট ইউনিয়নের নতুনবন্দর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টর তাদের মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই বিজিবি সদস্য আরিফ নিহত হয়। এসময় তার বাবা আব্দুল আজিজ গুরুতর আহত হন। পরে আব্দুল আজিজকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরে পথিমধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকরটি পালিয়ে যায়।
এদিকে তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের কৈমারী এলাকায় ট্রাক থেকে মুরগীর লিটারের (বিষ্ঠা) বস্তা আনলোড করার সময় ওই সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন জিয়া। এসময় অসাবধানতাবশত একটি মুরগীর লিটারের বস্তা জিয়ার কাঁধে পড়লে সড়কে পড়ে যান তিনি। পরে একটি ট্রাক্টর তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়ে মহাসড়কে পড়ে থাকেন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরে পথিমধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় বাবা ছেলের এবং তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া সড়ক দূর্ঘটনায় এক পথচারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাক্টর দুটি ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা কোন অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানান।
You cannot copy content of this page