পঞ্চগড় প্রতিনিধি
গ্রেড পরিবর্তনের ১৩ মাসের বর্ধিত বকেয়া বেতন (আগের বেতনের চেয়ে বর্ধিত অংশটুকু) পাচ্ছেন না পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। নতুন বেতন কাঠামো পরিবর্তনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষকদের ওই বকেয়া এখনো রয়েই গেছে। শিক্ষকদের অভিযোগ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবহেলায় উপজেলার ৬ শতাধিক শিক্ষকের বেতন আটকে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাথমিকের সহকারী ও চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা জানান, সরকারি প্রাথমিকের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত করার গেজেট প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ নতুন গ্রেডের বেতন নির্ধারণ করা হয়। নতুন গ্রেড অনুযায়ী এই ১৩ মাসে শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন এখনো বুঝে পায়নি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষকরা। ১৩ মাসে জনপ্রতি ৫ হাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত এই উপজেলার শিক্ষদের ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে বলে জানান তারা। অধিদপ্তরে বর্ধিত বকেয়া বেতনের চাহিদা না পাঠানোয় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ও দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাহবুব হাসান রাজু বলেন, বর্তমানে আমরা সহকারী ও চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষকরা আর্থিক সংকটের মধ্যে আছি। এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা ১৩ মাসের বর্ধিত বকেয়া বেতন পাচ্ছিনা। এ নিয়ে শিক্ষকের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের প্রাপ্ত এই বকেয়া দ্রুত পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল হক বলেন, আমরা একবার অধিদপ্তরে বর্ধিত বকেয়া বেতনের তথ্য পাঠিয়েছিলাম। পরে সেখান থেকে আমাদের প্রত্যেক শিক্ষকদের আলাদা আলাদা করে চাহিদাসহ কাগজপত্র পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। আমরা এখন সে কাজটি করছি। আশা করি শিগগিরই আমরা সকল শিক্ষকের তথ্য পাঠাতে পারবো। এখানে আমাদের কোন গাফিলতি নেই।
You cannot copy content of this page