পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সদাগর এক্সপ্রেস লিমিটেড কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রাখা ২১২ বস্তা তৈরী চা জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সোমবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের মিঠাপুকুর এলাকায় ওই প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চগড় শাখায় চা গুলো জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক।পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুুরিয়ারের মাধ্যমে চায়ের কালোবাজারিদের ধরতে মাঠে কাজ করছিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সোমবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দারা ওই কুরিয়ার সার্ভিসের ভেতরে বিপুল পরিমাণ চা দেখতে পান। এর মধ্যে ২০০ বস্তা পাঠানো হচ্ছিল শ্রীমঙ্গলসহ দেশের প্রায় ১০টি জেলার বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের শ্রীমঙ্গল থেকে এসেছে ১২ বস্তা। প্রতিটি বস্তায় রয়েছে ৫০ কেজি করে তৈরি চা। ২১২ বস্তা তৈরী চায়ের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। পরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তৈরী চায়ের বস্তা ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই কুরিয়ার সার্ভিসের ভেতরেই জব্দ চায়ের বস্তাগুলো সিলগালা করে রাখা হয়। এ সময় পঞ্চগড় চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আল মামুন ও পঞ্চগড় কাস্টমসের সুপারিন্টেডেন্ট আবু সরোয়ার, পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের একটি দল সহ গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ২১২ বস্তা চা সহ প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক সিলগালা করে দেয়া হয়।ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, জব্দ করা চা গুলোর এক বা একাধিক জনের হতে পারে। যদি কেউ সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেন তাহলে তারা কাস্টমসের সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের চা গুলো নিয়ে যেতে পারবেন। অন্যথায় চা গুলো আমরা কাস্টমের মাধ্যমে নিলামে তুলবো।
You cannot copy content of this page