পঞ্চগড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শহীদ শেখ কামাল দ্বিতীয় আন্তঃজেলা স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে রঙিন বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট বক্তব্য দেন। এ সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আবু তোয়বুর রহমান, জেলা ক্রীড়া অফিসার গৌতম সরকার, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা। এর আগে প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিতার বিচারকদের ক্রীড়া শপথ পাঠ করান জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। মুল ইভেন্ট শুরু আগে জেলা শিশু পরিবার, হাজি সফিরউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং করতোয়া কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষার্থীরা বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এরপর অলিম্পিকের প্রতীক মশাল প্রজ্জলনের পর শুরু হয় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল দ্বিতীয় আন্তঃজেলা স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় শ্রেনীভিত্তিক চারটি গ্রæপে ৩২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রæপে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনীর জন্য ১০০ মি. ও ২০০ মি. দৌড়, হাইজাম্প ও লংজাম্প। ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রæপে ৯ম থেকে ১০ শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীর জন্য ১০০ মি., ২০০ মি., ৪০০ মি., ৮০০ মি: ও ১৫০০ মি. দৌড়, হাইজাম্প, লংজাম্প, ট্রিপল জাম্প, বর্শা নিক্ষেপ, শটপুট, ডিসকাস থ্রো। এছাড়া চার গুনিতক ১০০ মি. রিলে দৌড়ে পাঁচ উপজেলার প্রতিযোগী দলের ৫৪০ জন প্রতিযোগী শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে বিতরণ করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র, আধুনিক ক্রীড়ার রুপকার শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নামকরণে দেশের সবববৃহৎ ও বর্ণাঢ্য আয়োজন “শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩”। বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের উদ্যোগে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর দ্বিতীয়বারের মত সারা দেশে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃণম‚ল থেকে জাতীয় পর্যায়ে এ্যাথলেটিকসকে শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষনীয় ও জনপ্রিয় করা এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারিরীক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশসহ প্রতিযোগী মনোভাব গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশব্যাপী একটি ক্রীড়া আন্দোলন সৃষ্টি হবে। এ লক্ষ্যে আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা প্রয়োজন। দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করে তাদেরকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী প্রতিযোগী ও দল বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বৃহৎ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।।
You cannot copy content of this page