পঞ্চগড়ে নাইমুজ্জামান মুক্তা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক জনপ্রেক্ষিত কর্মকর্তা নাইমুজ্জামান মুক্তা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জায়গায় নিয়ে যেত চান। তিনি মানুষকে সপ্ন দেখান এবং সপ্ন বাস্তবায়ন করেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য তিনি সংগ্রাম করেন। তাই আজকে ঘরে গরে বিদ্যুৎ। কিন্তু বিএনপির আমলে আমরা কি দেখেছিলাম বিদ্যুতের নামে বিএনপি দেশের মানুষকে খাম্বা দিয়েছিল।
তিনি রবিবার বিকেলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে তৃণমূল আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে বেগম জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব নেতৃত্ব বলেছিল বাংলাদেশকে সমুদ্রের নিচ দিয়ে বিনামূল্যে তথ্যপ্রযুক্তির সুপার হাইওয়ে সাবমেরিন কেবলে ভারত কয়েক কয়েকটি দেশকে যুক্ত করতে অফার এসেছিল। কিন্ত খালেদা জিয়া সেদিন বলেছিল সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে। তিনি সুযোগ হাতছাড়া করেছিল। বর্তমান সরকার যেখানে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ছে। তখন বিএনপি টেকব্যাক বাংলাদেশ বলে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। আজকে আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলার বিরাট নেতা। যিনি এক সময় শিক্ষক ছিলেন। আমি সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে বলতে চাই। কোন বিবেচনায় বললেন, যে ইউরেনিয়াম একটা ক্যামিকেল। এই ইউরেনিয়াম যখন বাংলাদেশের মাটিতে আসলো মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, এই ইউরেনিয়াম হচ্ছে ক্যামিকেল। এইরকম তারা জুজুর ভয় দেখাতে চায় মানুষকে। তারা গুজব সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। আর গুজব সন্ত্রাস সৃষ্টি করে টেকব্যাক বলে বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে যেতে চায়। শেখ হাসিনা বলেন “লুক ফরোর্য়াড বাংলাদেশ’। ২০৪১ এ বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জায়গায় নিয়ে যেতে চান তিনি। আর সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, এই পাকিস্তান আর হিরো আলমের বন্ধু আমেরিকা ভিসা নীতি দিয়ে দেশকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল অথচ সরকারের দৃঢ়তায় গত তিনমাসেরও তারা তা পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভিসা নীতিকে তোয়াক্কা করেনা। বর্তমানে তারা ফিলিস্তিনকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছে। সরকার সেখানে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ঘোষণা করতে বিশ্বের নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের শৈশবের মুগ্ধতা এবং গর্বের প্রতিষ্ঠান এই পঞ্চগড় চিনিকল। এর সাইরেন এর শব্দ শুনে বেড়ে ওঠা আমাদের প্রজন্ম। হাজার হাজার মানুষের কর্মচঞ্চল জীবিকার অবলম্বন কাদের ব্যার্থতায় আজ নিথর হয়ে গেল আমি এই প্রশ্ন রাখতে চাই? আমি প্রত্যয় ঘোষনা করছি সুযোগ পেলে আবারও সেই সাইরেন বাজবে। চালু হবে আমাদের চিনিকল! কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে চিনিকল! ষড়যন্ত্র করে লোকসান দেখিয়ে এই চিনিকলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মে দিবসের সেই ঐতিহাসিক বীর জন হেনরির মত মেশিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আমার পাথর-বালি শ্রমিকেরা- মহানন্দা, ভেরসা, ডাহুক করোতোয়া, চাওয়াই নদীর বুক চিরে পাথর-বালি তুলতো। আজ আমার হাজার হাজার শ্রমিক ভাইয়ের জীবিকা বিপন্ন! এটা কাদের ব্যার্থতা?। আমি কথা দিলাম আপনাদের অধিকার আদায়ে আপনাদের পাশেই আছি।
শেখ হাসিনার উপহার পঞ্চগড়ের ধুসর মাটিতে সবুজ-শ্যামল চা কাদের সিন্ডিকেটের কারণে আজ চা চাষিদের হাহাকার। আমি গণমাধ্যম কর্মীদের বলবো কৃষকের রক্তচোষা টাকায় কারা অট্টালিকা বানায় আপনারা অনুসন্ধান করুন?। আমি নাইমুজ্জামান মুক্তা ঘোষণা দিয়ে গেলাম চা চাষীদের জন্য যা করার দরকার আমি তাই করবো।
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে
জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) কাজী মৌসুমী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব প্রমুখ।
জনসভায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবি, চিকিৎসক, শিক্ষক, কৃতি খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, তরুণ শিক্ষার্থী, নারী, বিভিন্ন শ্রমিক, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলার পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী ও তেতুঁলিয়া উপজেলা থেকে হাজারা হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে জনসভায় উপস্থিত হয়। এতে জনসভা যেন জনসমুদ্রে পরিণিত হয়।
You cannot copy content of this page