পঞ্চগড় প্রতিনিধি
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এদের কেউ হারিয়েছেন তার একমাত্র ছেলেকে, কেউ হারিয়েছেন বাবাকে আবার কেউ হারিয়েছেন তার স্বামীকে, আবার কেউ বেঁচে আছেন গুলিবিদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে। বিপ্লবের এই মহানায়কদের নিরানন্দ পরিবার ও স্বজনের মুখে আনন্দ ফোটাতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে পঞ্চগড় বিএনপি। জেলা বিএনপির আয়োজনে রবিবার দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদের গ্রামের বাড়ি পাঁচপীর এলাকায় এই আয়োজন করা হয়। আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানের পঞ্চগড়ের শহীদ সাজু, সাগর, সাঈদ, শাওন ও সুমনের পরিবার এবং বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদ আরেফিনের পরিবারের সদস্যরাসহ জুলাই আগস্ট বিপ্লবে আহতরা অংশ নেন। ঈদের আনন্দের মধ্যেও অসহায় এই পরিবারগুলোর চোখে অশ্রুজল৷ নিজেদের অমূল্য সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো এমন ভালোবাসা পেয়ে বেশ খুশি। তবে তাদের কণ্ঠে গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবি। তাদের সাথে নিয়ে একসাথে দুপুরে খাবার খান বিএনপি নেতারা।
শহীদ সুমনের বৃদ্ধ বাবা বলেন, আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়েছি আমরা। ছেলের চিন্তায় ঘুমাতে পারি না। এর মধ্যেও যারা আমাদেরকে ঈদের আনন্দ দিতে এমন আয়োজন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
শহীদ সাজুর স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ঈদে আমার ছেলেকে কেউ ঘুরতে নিয়ে যায় না। যারা আমার সন্তানকে বাবা হারা করেছে সেই খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দেয়া হোক।
কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, বহু ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমরা চেয়েছি তাদের সাথে আমাদের ঈদকে ভাগাভাগি করে নিতে। তাদের অংশগ্রহণ আমাদেরকে আনন্দিত করেছে। আমরা চাই যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তারা যেন তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় আদালতের পিপি ও বিএনপি নেতা আদম সুফি, জেলা জাসাসের সভাপতি ইউনুস শেখসহ বোদা ও দেবীগঞ্জসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
You cannot copy content of this page