পঞ্চগড় প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেছেন প্রায় ৩৭ বছর। আর তাই সেই শিক্ষককে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে রাজকীয় আয়োজনে দেয়া হলো বিদায়। এসময় স্মৃতি উপহার স্মারক সহ ৫০ হাজার টাকা সম্মানী বাবদ চেক, একটি ছাতা, তিনটি জায়নামাজ, কোরআন শরিফ, ৪-৫ সেট পাঞ্জাবি, টুপি, জুতা, গামছা, একটি বাটন মোবাইল ফোন দেয়া হয়। পরে মাইক্রোবাস যোগে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে দেয়া হয় বাসায় পৌঁছে।
বৃহস্পতিবার (২৯) দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ এলাকায় এঘটনাটি ঘটে।
অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের নাম নুরুল ইসলাম। তিনি ইউনিয়নের বাগানবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের সোনাচান্দি এলাকায়।
এই গুণী শিক্ষককে বিদায় জানাতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এমন একজন শিক্ষকের বিদায়ে বিদ্যালয়ের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে মনে করছেন তারা।
গুণী এই শিক্ষকের ছোট ছেলে আব্দুল কাদের বলেন, আমার বাবা দীর্ঘ ৩৭ বছর বাগানবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। আজকে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার বাবাকে যেন সম্মান দিয়েছে তা ভূলার মত নয়। তাঁরা অনেক উপহার সামগ্রী দিয়ে মাইক্রোবাসে করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। আমার বাবাকে যে তারা কি পরিমাণ ভালোবাসে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
অবসরগ্রহণ করা সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৭ বছরে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করেছি। কখনো ফাঁকিবাজি করিনি। অনেক অনেক ছাত্র ছাত্রী বড় পদে ভালো জায়গাতে আছে। আজকে বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহন করেছি। যদিও প্রতিদিন সকালে বিদ্যালয়ে যাবার জন্য নিজের মধ্যে ব্যাকুলতা কাজ করবে। তবুও কি আর করার বাকী জীবন বাড়ির কৃষি দেখাশোনা করেই কাটাতে হবে। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।
You cannot copy content of this page